৫–২৮ আগস্ট ২৩ দিনে নাফ নদ থেকে কমপক্ষে ৬৯ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। একক দিনে সর্বোচ্চ ২৬ আগস্ট তুলে নেওয়া হয় ১৩ জনকে; ৩০ সেপ্টেম্বর আবার দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলে নিখোঁজ। এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর ৫ ট্রলারের ৪০ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৭ জন পালিয়ে এলেও এখনও ১১৪ জেলে বন্দি ও ১৯ ট্রলার আটক রেখেছে এএ। জুন-আগস্ট মিলে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬৫-এর বেশি। পরিবারগুলো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, সীমান্তে ছড়িয়ে পড়েছে ‘নতুন যুদ্ধ’-এর আশঙ্কা। ২০০০ সালের ‘নাফ যুদ্ধ’-এর মতো এবারও সামরিক জবাব দরকার কি না—তা নিয়ে সরব জনমত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত নদীতে শান্তিপূর্ণ চলাচলের অধিকার থাকলেও এএ গোপন ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে কার্যত জলদস্যুতা করছে। কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভির জানান, “ভাটার টানে জাল ধরতে গিয়ে জেলেরা মিয়ানমার সীমানায় ঢুকে পড়ছে; আমাদের জলসীমায় এসে ধরে নিয়ে যাওয়া হলে প্রতিহত করা হবে।” রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, “এএ মাদক ও মানব পাচারেও জড়িত; সরকারবিহীন রাখাইনে কূটনৈতিক চ্যানেল অনেকটাই বন্ধ। তবু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি জেলেদের ফেরাতে।”