শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করছেন। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ায় দিনব্যাপী তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এবং কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া আদায়ের ঘটনায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল ও কাঁচপুর এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে কিছু বাস চালক ও পরিবহন সংস্থা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এছাড়া, বৃষ্টির কারণে দড়িকান্দি এলাকায় গাড়ি বিকল হওয়া এবং যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল থেকে যানবাহনের চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে জেদ্দা এক্সপ্রেসের স্লিপার টিকিট কিনেছেন যাত্রী জুবায়ের। তিনি বলেন, “আজ যানজটের কারণে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ১৪০০ টাকায় স্লিপারের টিকিট কিনেছি। ভালো কোম্পানির গাড়িগুলো ভাড়া আগের মতোই রেখেছে, কিন্তু কাউন্টার ছাড়া অন্য গাড়িগুলো বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।”
শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটির সাথে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা চার দিনের ছুটি পাওয়ায় নগরবাসী তাদের গ্রামের বাড়ি বা অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ার জন্য মহাসড়কে ভিড় করছেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যা দেশের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক, অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়েছে। বৃষ্টি এবং গাড়ি বিকলের মতো ঘটনা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
যানজট এবং বাড়তি ভাড়ার সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।