ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়নের কারণে বাংলাদেশ দুর্যোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। দুর্যোগের সময় ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন এবং এই ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনগণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সরকার এবং বেসরকারি উদ্যোগ দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক, তবে বিভিন্ন জনমিতিক গোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। পিকেএসএফ ভবনে আজ ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ এসব মন্তব্য করেন। এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও পিকেএসএফ-এর পর্ষদ সদস্য গওহার নঈম ওয়ারা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে উপস্থাপন প্রদান করেন। সভায় পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয় আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক এবং শারীরিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস মানে হল দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি, জীবনহানি, এবং অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য গৃহীত ব্যবস্থা। এর মধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকি চিহ্নিত করা, মূল্যায়ন করা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। বক্তাগন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারী, শিশু, প্রবীণ, কিশোরী, এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিবেচনায় নেয়ার ওপর গুরুত্তারোপ করেন।
সভায় পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পিকেএসএফ-এর চলমান কার্যক্রম বেগবান করার আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে সহযোগী সংস্থাসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ম্যনুয়াল প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার বিষয়ে তিনি দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।