যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং শুক্রবার টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে চালু রাখার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। এ উদ্যোগ দুই পরাশক্তির মধ্যে চলমান বাণিজ্য অচলাবস্থা নিরসনে সহায়ক হতে পারে।
হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন মাস পর প্রথমবারের মতো দুই নেতার টেলিফোনে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে টিকটক ইস্যু ও বাণিজ্য সম্পর্ক। এরই মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অক্টোবরের শেষ দিকে সি-ট্রাম্প বৈঠকের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেস ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির নির্দেশ দেয়। না হলে দেশটিতে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে ট্রাম্প আইন কার্যকর না করে বিকল্প মালিকানা কাঠামোর চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি টিকটক পছন্দ করি। এটা আমাকে নির্বাচনে সহায়তা করেছে। টিকটকের বিশাল মূল্য রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সেই ক্ষমতা আছে।”
এদিকে টিকটকের মালিকানার কাঠামো, চীনের নিয়ন্ত্রণ কতটা থাকবে এবং কংগ্রেসের অনুমোদন মিলবে কিনা—এসব বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। জানা গেছে, টিকটকের মার্কিন সম্পদ স্থানীয় মালিকানায় যাবে, তবে অ্যালগরিদম ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। এ নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখছেন, যদিও বেইজিং তা অস্বীকার করেছে।
দুই দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ, প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা, কৃষিপণ্য বাণিজ্য ও ফেন্টানিল রপ্তানি ইস্যুতেও অচলাবস্থা রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, টিকটক নিয়ে সমঝোতা হলে তা বৃহত্তর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে।