যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার কমালেও ‘হকিশ’ ভাষায় ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের দিক-নির্দেশনা দেওয়ায় এশিয়ার অধিকাংশ মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়েছে; এর প্রভাবে ভারতীয় রুপির সাম্প্রতিক উত্থানে বিরতি পড়তে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
বুধবার সকালে (স্থানীয় সময়) ডলার-বিরুদ্ধে রুপি ৮৩.৪২-এ পৌঁছে গত তিন সপ্তাহের সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। তবে ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলনের পর কোরিয়ান ওন, ইন্দোনেশীয় রুপিয়া ও থাই বাত একযোগে ০.৪-০.৭ শতাংশ কমে যায়। মুম্বাইভিত্তিক এক বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান জানান, “এশিয়ান ব্যাস্কেট দুর্বল হওয়ায় রুপির আর ৮৩.৩০-এর নিচে যাওয়ার জোরালো কারণ নেই; অগ্রসর হয়ে ৮৩.৬০-৮৩.৭০ স্তরে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।” বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের (FII) নিট ক্রয় ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় কার্যদিবসে ১.২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা রুপিকে সাময়িকভাবে চাঙ্গা রেখেছিল। কিন্তু ফেডের ‘ধীর ও পরিমিত’ হার কমানোর বার্তায় ঝুঁকিপ্রবণ সম্পদের আকর্ষণ কমেছে; ফলে নিকট ভবিষ্যতে মুদ্রার র্যালি ব্যাহত হতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) ৮৩.৫০-সীমানায় নীরবে ডলার বিক্রি করে সহায়তা দিচ্ছে বলে ডিলারদের ধারণা। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি কর্মকর্তারাও বলছেন, রুপি দুর্বল হলে রেমিট্যান্স প্রবাহে সামান্য প্রভাব পড়তে পারে, তবে টাকার বিনিময় হার এখনই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মুখে নয়।