1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“জান্নাতের মালিক একমাত্র আল্লাহ, কোনো মার্কা নয়”—পটুয়াখালীতে এ্যাড. মহসীন ভোলার ব্যাংকের হাটে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমির হোসেন র‌্যাবের জালে আজ মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ধামরাইয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার, অস্ত্র-কার জব্দ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস খাদে, নারী নিহত, আহত ৩০ ভোলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক জামাল উদ্দিনের মৃত্যু, শোকে স্তব্ধ শিক্ষাপরিবার দশমিনার দিঘিতে শারদীয় নৌকা বাইচ: ৫০ বছরের ঐতিহ্যে জমজমাট অনুষ্ঠান গলাচিপার ছাত্রশিবির সভাপতি ফোরকান আহম্মেদ জিসান এবার যোগ দিলেন ছাত্রদলে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: এনসিপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন বর্জন

ভোলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ওজনে কম: ডিলার-মিলার-গুদাম ত্রিমুখী জটিলতা, সুবিধাভোগীদের ক্ষতির আশঙ্কা

ঢাকা বুলেটিন ডিজিটাল ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

 

ভোলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (৫ টাকা কেজি) চালের বস্তা নির্ধারিত ৩০ কেজি ৫০০ গ্রামের জায়গায় গড়ে ১ কেজি করে কম পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওজন ঘাটতির কারণে ডিলাররা চাল গ্রহণ করতে না পারায় সদরসহ তজুমদ্দিনসহ পুরো জেলায় বিতরণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। খাদ্য গুদাম, অটো রাইস মিল ও ডিলার—তিন পক্ষের মধ্যে দায়-দায়িত্ব নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ভোলা অটো রাইস মিলের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, সরকারি গুদাম থেকে মিলে চাল যাবে; সেখানে ১ % হারে পুষ্টি মিশিয়ে ৩০ কেজি চাল + ৩০০ গ্রাম পুষ্টি + ২০০ গ্রাম বস্তা = ৩০ কেজি ৫০০ গ্রাম করে বস্তা ডিলারদের হস্তান্তর করতে হবে।

তজুমদ্দিন উপজেলার ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ৭ হাজার ২৯৬ জন সুবিধাভোগী চাল পান। বৃহস্পতিবার মলংচড়া ইউনিয়নের ডিলার বিল্লাল জানান, “৫০ কেজি ৭০০ গ্রামের বস্তাতেও ওজন কম ছিল। সঠিক ওজন না পাওয়ায় চাল গ্রহণ করিনি।” একই অভিযোগ জেলার প্রায় ৮০ হাজার সুবিধাভোগীর মধ্যে বড় একটি অংশের কাছে। গণনায় দেখা গেছে, প্রতি বিলে বস্তা প্রতি গড়ে ১ কেজি ঘাটতি হলে পুরো জেলায় প্রায় ৮০ টন চাল কম যেতে পারে।

ডিলাররা বলছেন, ওজন কম থাকায় তারা বিতরণ করতে পারছেন না।ভোলা অটো রাইস মিলের ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, “আমাদের দুই ধরনের বস্তা আছে; অসাধু ডিলারদের ষড়যন্ত্রে বদনাম হচ্ছে।”উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, “গুদাম থেকে মিলার সঠিক ওজনে চাল বুঝে নেবেন, পুষ্টি করণের পর ডিলারদের দেবেন—এই নিয়ম। বিষয়টি নিয়ে মিলার ও ডিলারদের সঙ্গে বসা হয়েছে।”জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এহসানুল হক বলেন, “সকল উপজেলাকে মিল পরিদর্শন ও ওজন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধান না হলে সাধারণ সুবিধাভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ওজনে কম দিলে মিলারের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙের কারণে কালোতালিকাভুক্তি ও জরিমানার বিধান রয়েছে। ইতিমধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলায় বিতরণ স্থগিত রেখে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সচেতন মহল বলছে, যদি ওজন ঘাটতি ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে চাল না পেয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির লক্ষ্য ভেস্তে যেতে পারে এবং ভোলার প্রায় ৮০ হাজার দরিদ্র পরিবার ক্ষতির মুখে পড়বে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট