বিনিয়োগকারীদের ধারণা, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার কমাবে—এই আশায় সোমবার এশিয়ার প্রধান সূচকগুলো নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়; একই সময়ে ডলার সূচক দুর্বল হয়ে পড়ায় ঝুঁকি-আকর্ষণ বেড়ে যায় এবং আঞ্চলিক শেয়ার ও মুদ্রায় ক্রয়চাপ বাড়ে।
MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক (জাপান বাদে) সূচক ০.৮% বেড়ে ৫৭৮.৬ পয়েন্টে যায়, যা ২০২১-এর পর সর্বোচ্চ। টোকিওর নিক্কেই ২২৫ ১.২% চড়ে ৪২,১৫০ পয়েন্ট—চার বছরের শিখর। হংকংয়ের হ্যাং সেং ১.১% উত্থানে ১৮,০৪০ এবং সাংহাই কম্পোজিট ০.৭% বেড়ে ৩,১৮০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি ০.৯% চড়ে ২,৭১৫, অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ ০.৬% বেড়ে ৮,১০০ পয়েন্ট ছাড়ায়—সবই রেকর্ড বা সাম্প্রতিক শিখর। টেক ও চিপ শেয়ারে নেতৃত্বে ছিল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স (৩.২%) ও টিএসএমসি (২.৪%)।
বাজারে ৯৪% সম্ভাবনা ধরা হচ্ছে ফেড ১৮ সেপ্টেম্বর ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে; ৬% সম্ভাবনা ৫০ পয়েন্ট কাটার। CME FedWatch-এর তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর নাগাদ মোট ৭৫ পয়েন্ট হ্রাসের বাজি জমা হয়েছে। “ডলার সূচক ১০৪ থেকে ১০৩.৪-এ নেমে এসেছে; ঝুঁকি-আকর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় ক্যারি-ট্রেডে ইয়েন, ওন ও অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্রয় হচ্ছে,” বলেন নোমুরার ফরেক্স স্ট্র্যাটেজিস্ট ইউরিকো ইওশিহারা।
এশিয়া-প্যাসিফিক মুদ্রায় জাপানি ইয়েন ১৪০.৮০-তে ডলারের বিপরীতে এক মাসের সর্বোচ্চ; অস্ট্রেলিয়ান ডলার ০.৬৭৬০ ডলারে; দক্ষিণ কোরিয়ান ওন ১,৩২৫-তে। স্বর্ণ ০.৪% চড়ে প্রতি আউন্স ২,৫৮৮ ডলার—এক সপ্তাহের শিখর। ক্রুড অয়েলও দুর্বল ডলারে সুবিধা পায়; ব্রেন্ট ০.৬% বেড়ে ৭৩.৯০ ডলার/ব্যারেল।
বাণিজ্য আলোচনার দিকে নজর: মাদ্রিদে মার্কিন-চীন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছে; বিনিয়োগকারীরা টিকটক বিক্রির সময়সীমা ও অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের ইঙ্গিত খুঁজছে। “ফেড-পরবর্তী বৈশ্বিক তরলতা ঢলের আশায় ইমার্জিং মার্কেটে মূলধন প্রবাহ বাড়বে,” বলেন ব্লুমবার্গ ইনটেলিজেন্স-এর সিনিয়র স্ট্র্যাটেজিস্ট অ্যান্থিং ফাং।