ভোলায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্গার ও স্বামীর ঘারের দামীয় আসবাবপত্র নিয়ে প্রেমিকের উদ্দেশ্যে পালিয়েছে ১সন্তানের জননী। এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে ভূক্তভোগী স্বামী মোঃ ইকবাল হোসেন। থানার অভিযোগ ও ভূক্তভোগীর ভিডিও বক্তব্য সূত্রে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোঃ আবুল বাশারের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেনের সাথে পার্শ্ববর্তি দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোঃ জুয়েল হাওলাদারের মেয়ে আফরিন আক্তারের সাথে প্রায় ৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর উভয়ের কোলজুরো দুনিয়াতে অসে একটি মেয়ে সন্তান। ওই সময় ইকবালের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক ছিলো তার স্বশুর জুয়েল হাওলাদারের সাথে। এর সুবাধে শ্বশুর জুয়েল হাওলাদার ব্যবসার কথা বলে জামাই ইকবালের কাছথেকে ধার নেয় বিশ লাখ টাকা। অন্যদিকে ইকবাল ও আফরিনের দাম্পত্য জীবন কিছুদিন সুখে শান্তিতে কাটলেও পরবর্তিতে নেমে আসে এক ভয়াবহ কালো অধ্যয়। স্ত্রী আফরিন স্বামী ইকবালের ঘরে থাকতেই তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় দৌলতখান উপজেলার মিয়ার হাট এলাকার কবির মিঝির ছেলে জিহাদ হোসেন নাঈম নামের প্রবাসী এক যুবকের সাথে। আর এ কাজে সার্বিক সহযোগীতা করতো পরবিত্তুলোভি আফরিনের মা রেহানা বেগম। এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীরির মাঝে পারিবারিক কলোহো পৌছে যায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে। শুরুহয় ইকবাল ও আফরিনের সুখের সংসারে ভয়াবহ অশান্তি। একাটা সময় স্ত্রী আফরিন তার মা রেহানা বেগম ও পরকীয়া বন্ধু জিহাদের কু-পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেয় স্বামী ইকবালের ঘর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও দামীয় আসবাবপত্র নিয়েo পালিয়ে যাবার। যোমন চিন্তা তেমন কাজ, গত ০৮/০৯/২০২৪ইং তারিখে স্ত্রী রেহানা তার স্বামীর ঘর থেকে নগদ ২লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ২টি গলার স্বর্ণের চেইন, ৬টি আংটি, সিতাহার ১টি, নেকলেস ১টি, কানের দুল ১জোড়া, ১টি মাথার টিকলি, ১টি মানতাসা, ১জোড়া রুলি, যাহার সর্ব মোট ওজন ১২ ভরি, ২টি স্মার্ট ফোন, ১টি ল্যাপটবসহ ঘরের দামীয় আসবাব পত্র নিয়ে কাউকে না বলে তার বাবার বাড়ি পালিয়ে যায়। এরপর স্বামী ইকবাল এসব নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরৎ চাইলে স্ত্রী আফরিন তার একমাত্র মেয়ে আয়াত (৩ ) কে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ও স্বামী ইকবালের নামে মিথ্যা মামলা দিবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে বলে যানাযায় থানার অভিযোগ সূত্রে। উল্লেখ্য এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী স্বামী ইকবাল সুবিচারের দাবীতে সমাজের গণ্যমান্যদের কাছে একাধিক বার দৌড় ঝাপ করলেও এখান পর্যন্ত কোন প্রকার সু-ফল মেলিনি তার ভাগ্যে। এমতাবস্থা এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ভূক্তভোগী স্বামী ইকবাল হোসেন। এ ব্যপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।