1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

বিলুপ্তির পথে ভোলার সিনেমা হল, টিকে আছে মাত্র একটি

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

আধুনিক প্রযুক্তি, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সহজলভ্যতা এবং পাইরেসির কারণে ভোলা জেলায় সিনেমা হলগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। আশির দশক থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভোলার সাত উপজেলায় অন্তত ২৭টি সিনেমা হল চালু ছিল। বর্তমানে চালু রয়েছে মাত্র একটি—ভোলা সদর উপজেলার রূপসী সিনেমা হল। তবে দর্শকশূন্যতা ও লোকসানের কারণে এটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

একসময় ভোলা সদরেই ছিল অবসর, রূপসী ও অনুপম সিনেমা হল। বোরহানউদ্দিনে চালু ছিল রাজমনি, চিত্রমনি ও রূপালি। দৌলতখানে ছিল বিউটি, আনন্দ, ডায়মন্ড ও অন্তরা। লালমোহনে গড়ে উঠেছিল লালমনি, বিনোদন, মেঘনা, মধুচ্ছন্দা ও সংগীতা। তজুমদ্দিনে চলত স্বাধীন, শশী ও সখী। চরফ্যাশনে ছিল সাগরি, ফ্যাশন, সাগর, সবুজ, দুলারি ও রঙ্গিলা। মনপুরায় চালু ছিল সনি ও ঝলক। কিন্তু একে একে সব বন্ধ হয়ে গেছে। অধিকাংশ জায়গায় এখন বহুতল ভবন, মার্কেট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা দোকানপাট গড়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অবসর সিনেমা হলের জায়গায় বর্তমানে “অবসর সেন্টার” নামে একটি মার্কেট স্থাপিত হয়েছে।

হল মালিকদের অভিযোগ, পাইরেসি এবং সামাজিক মাধ্যমের কারণে নতুন ছবি হলে আসার আগেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দর্শকরা আর হলমুখী হচ্ছেন না। অবসর সিনেমা হলের সাবেক মালিক রাজিব চৌধুরী বলেন, “পাইরেসি না হলে হলগুলো বাঁচত। দর্শক অনলাইনে ফ্রি দেখে নিচ্ছেন।”

রূপসী সিনেমা হলের বর্তমান ম্যানেজার মো. ফিরোজ জানান, “প্রতিদিন আমাদের গড়ে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়, কিন্তু আয় হচ্ছে মাত্র ৬-৮ হাজার টাকা। কখনো কখনো ১৮-২০ জন দর্শক নিয়ে শো চালাতে হয়। এভাবে দীর্ঘদিন টিকে থাকা সম্ভব নয়।”

এদিকে দর্শকদের দাবি, পরিবারসমেত দেখার মতো সামাজিক ও মানসম্পন্ন ছবি নির্মাণ এবং পাইরেসি প্রতিরোধ করা গেলে সিনেমা হলগুলো আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়া এই শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব নয়।”

শুধু ভোলায় নয়, সারা দেশেই সিনেমা হলের সংখ্যা কমছে। ১৯৯৪ সালে দেশে প্রায় ১ হাজার ৪৩৫টি সিনেমা হল চালু ছিল। বর্তমানে সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০টির মতো। ভোলার সংকট তারই প্রতিফলন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট