1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কুয়াকাটা সৈকতে এক দিনের মধ্যে ফের আইরাবতী ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে উঠলো বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলার ডুবি, ২০ জেলে দুর্ঘটনায় ১৪ জন উদ্ধার, ৬ জন নিখোঁজ পটুয়াখালীতে আলোচিত ডাচ বাংলা ব্যাংক বুথের দস্যু প্রধান জাহিদ সরদার গ্রেফতার ইউক্রেন শান্তি আলোচনার অপেক্ষায় তেলের দাম বাড়লো  রাশিয়ার ‘বিশেষ যন্ত্রণা’ থাকায় ভারতে তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে, জানালেন দূতাবাস কর্মকর্তা প্রযুক্তি শেয়ার বিক্রির ধাক্কায় ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে পতন প্রযুক্তি খাতের দুর্বলতায় ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারে পতন শেইনের আইপিও জটিলতা: চীনের গ্লোবাল ব্যবসায় বহির্গমনের চ্যালেঞ্জ মাস্ক নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা ধীরে নিয়ন্ত্রিত করছেন: WSJ রিপোর্ট জ্যাকসন হলের আগে ফেড সংশ্লিষ্ট বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি

গহিন অরণ্যে প্রাচীনতম ৩০টিরও বেশি গিরিখাত

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা নাহার চা-বাগানের পার্শ্বে দুর্গম অরণ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীনতম ৩০টিরও বেশি গিরিখাত। স্থানীয়দের দাবি, এসব গিরিখাতের দৈর্ঘ্য কোথাও এক কিলোমিটার, আবার কোথাও কয়েক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর কয়েকটি বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ভেতর ও প্রবেশ করেছে।

স্থানীয় আদিবাসীরা গিরিখাতগুলোর নাম দিয়েছেন লাসুবন, ক্রেম উল্কা, ক্রেম কেরি ইত্যাদি। ‘লাসুবন’ শব্দের অর্থ পাহাড়ি ফুল। এসব নামকরণ হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষানুসারে, আশপাশের বৃক্ষরাজি ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে। শুধু গিরিখাতই নয়, এর চারপাশে রয়েছে রহস্যময় গুহা, ছোট্ট ছোট্ট জলপ্রপাত, পাহাড়ি ঝর্না ও শিলা গঠন—যা মিলিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে দিয়েছে সৃষ্টির অনন্য ও মনোমুগ্ধকর রূপ।

২০০০ সালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে উপজেলা সমন্বয়কারী তাজুল ইসলাম জাবেদ প্রথম এসব গিরিখাতের সন্ধান পান। সে সময় স্থানীয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মী এলাকাটি পরিদর্শন করেছিলেন। তবে দুর্গম যাত্রাপথ ও জনসমাগমের অভাবে দীর্ঘদিন মানুষের নজরের বাইরে ছিল এসব স্থান। করোনাকালীন সময়ে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় পর্যটন উদ্যোগও নেওয়া যায়নি।

গিরিখাতগুলোতে পৌঁছাতে হলে প্রথমে জিপ গাড়ি বা মোটরসাইকেলে যেতে হয় উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায়। এরপর কয়েক কিলোমিটার হেঁটে খাড়া ছড়া, ঘন বন ও পাথুরে উঁচু-নিচু পথে অগ্রসর হতে হয়। সীমান্তবর্তী এ এলাকায় মূলত খাসিয়া, চা-শ্রমিক ও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।

সম্প্রতি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন লাসুবন গিরিখাত পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “শ্রীমঙ্গলের নাহারপুঞ্জির নিকটস্থ লা-সুবহান (লা-সুবন) গিরিখাত ভ্রমণ করলাম। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্থান ভ্রমণপিপাসুদের জন্য হতে পারে আনন্দময় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।”

ইউএনও জানান, পর্যটকদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, বাকিগুলোও দ্রুত নির্মাণ করা হবে। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় ভ্রমণকারীদের অবশ্যই অভিজ্ঞ গাইড সঙ্গে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গহিন প্রাচীন অরণ্যে আবিষ্কৃত গিরিখাতগুলো যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যায় এবং নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়, তবে তা শ্রীমঙ্গলের পর্যটন খাতে যুক্ত করবে আরেক এক নতুন অধ্যায়।

চা-বাগান, লেক, ঝর্না ও অরণ্যে ঘেরা এসব পাহাড়ি গিরিখাতকে ঘিরে ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আশার বাণী তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের জন্য হয়ে উঠতে পারে এক অনন্য রোমাঞ্চকর মনোমুগ্ধকর গন্তব্য।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গম এই এলাকায় গিরিখাতগুলোর পাশাপাশি রয়েছে ছোট-বড় গুহা, জলপ্রপাত ও প্রাকৃতিক শিলার গঠন, যা ভ্রমণকারীদের কাছে হবে রহস্যময় অভিজ্ঞতা। তবে পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গেলে সড়ক, ব্রিজ, নিরাপত্তা ও গাইড ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন জরুরি বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এসব প্রাচীন গিরিখাত পরিকল্পিতভাবে পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হলে শ্রীমঙ্গলের পর্যটনের ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে নতুনভাবে পরিচিতি পাবে। এবং পর্যটকদের জন্য হবে আরেক নতুন অভিজ্ঞতার বাতিঘর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট