1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলার বোরহানউদ্দিনে আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত গরু-ছাগলের হাট খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা মনপুরায় জেলেদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি: যুবদলের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন নুরুল হক নুর হেফাজত আমিরের আহ্বান: আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন না নাফ নদে আরাকান আর্মির অপহরণ-চক্র: ২৩ দিনে ৬৯ জেলে, প্রশ্ন উঠছে ‘কঠোর বার্তা’র রাজশাহীতে উদ্বোধন হলো ৩০তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫ পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাং চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার, অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ রাঙ্গাবালীর সোনারচরে ফিশিং ট্রলার ডুবি, ১৪ মাঝিমাল্লা জীবিত উদ্ধার ছুটির চতুর্থ দিনেও কুয়াকাটায় পর্যটক-উচ্ছাস, শতভাগ হোটেল বুকিং তরমুজবাহী ট্রলার ডাকাতি মামলার ‘প্রধান সরদার’ কামাল গ্রেফতার

ইইউ-চীন সম্মেলন ২০২৫: শুল্ক, ইউক্রেন ও রেয়ার আর্থ নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং চীনের নেতারা বেইজিংয়ে ২৫তম ইইউ-চীন সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন, যেখানে বাণিজ্য শুল্ক, ইউক্রেন সংঘাত, এবং গুরুত্বপূর্ণ রেয়ার আর্থ খনিজ নিয়ে তীব্র আলোচনা হয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেও উভয় পক্ষ বাণিজ্য আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। এই সম্মেলন ইইউ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন এই সম্মেলনে ইইউ-চীন সম্পর্ককে একটি “টার্নিং পয়েন্ট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি তুলে ধরেন, উল্লেখ করে যে গত বছর ইইউ’র চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৩০৫.৮ বিলিয়ন ইউরো (৩৬০ বিলিয়ন ডলার) ছিল। তিনি চীনের বাজারে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার, শিল্প ভর্তুকি হ্রাস, এবং ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের ভূমিকার বিষয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

ইইউ চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, অভিযোগ করে যে চীনের ভর্তুকি ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। জবাবে, চীন ইউরোপীয় ব্র্যান্ডি, শুয়োরের মাংস, এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপর তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া, চীন সম্প্রতি রেয়ার আর্থ খনিজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ইউরোপের উচ্চ-প্রযুক্তি ও সবুজ শক্তি শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইইউ’র বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস বলেন, “আমরা চাই চীনের সঙ্গে সমান সুযোগের ভিত্তিতে বাণিজ্য করতে, কিন্তু বর্তমান ভারসাম্যহীনতা অগ্রহণযোগ্য।”

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ইইউ নেতারা চীনের কাছে রাশিয়ার উপর প্রভাব ব্যবহার করে যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা বলেন, “চীনের রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।” ইইউ সম্প্রতি দুটি চীনা ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, অভিযোগ করে যে এই ব্যাংকগুলো রাশিয়াকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করছে। চীন এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা করেছে।

রেয়ার আর্থ খনিজ নিয়ে বিরোধ সম্মেলনের একটি মূল বিষয় ছিল। চীনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ইউরোপের সবুজ শক্তি রূপান্তর এবং প্রযুক্তি শিল্পের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। ফন ডের লায়েন এই নিষেধাজ্ঞাকে “অগ্রহণযোগ্য” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “ইউরোপের কৌশলগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলের বৈচিত্র্য আনতে হবে।”

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে বলেন, “বিশ্বের জটিল পরিস্থিতিতে চীন এবং ইইউ’র মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ইইউ’কে “কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন” বজায় রাখার এবং তৃতীয় পক্ষের চাপে না পড়ার আহ্বান জানান, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া জানিয়েছে, চীন ইইউ’কে “গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার” হিসেবে দেখে এবং বাণিজ্য, জলবায়ু, এবং বৈশ্বিক শাসনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।

মূলত দুই দিনের জন্য পরিকল্পিত এই সম্মেলন চীনের অনুরোধে এক দিনে সংক্ষিপ্ত করা হয়। সম্মেলনের আগে ইইউ চীনা চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এবং চীন পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপীয় পণ্যের উপর তদন্ত শুরু করেছে। এই পারস্পরিক বাণিজ্য ব্যবস্থা সম্মেলনের পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলেছে। তবে, ফন ডের লায়েন এক্স-এ বলেন, “এই সম্মেলন আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার এবং ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ।”

সম্মেলন থেকে কোনো বড় চুক্তির আশা কম, তবে উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের প্রত্যাশা করছে। এই বিবৃতিতে জাতিসংঘে জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দেওয়া এবং সিওপি৩০ সম্মেলনে নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা হবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সম্পর্কের উন্নতি ধীরগতির হবে। ইইউ চীনকে একই সঙ্গে “অংশীদার, প্রতিযোগী, এবং পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসেবে দেখে, যা সম্পর্কের জটিলতাকে তুলে ধরে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট