1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পবিপ্রবিতে ডিভিএম ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রি একীভূতকরণে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ পবিপ্রবিতে ভেটেরিনারি অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন শিক্ষার্থী অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ দুমকিতে ফ্যানে ঝুলে গৃহবধূর আত্মহত্যা, অপমৃত্যুর মামলা দায়ের ভোলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মসজিদের খতিব নিহত, এলাকায় বিক্ষোভ প্রিন্স হ্যারি যুক্তরাজ্যে ফিরলেন, রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে কি না অনিশ্চিত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভে শিশুসহ তিনজন নিহত, সরকারী ভবনে অগ্নিকাণ্ড সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকতে হাঙরের হামলায় নিহত, আকাশপথে নজরদারি জোরদার টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে আজিজ আনসারির ‘গুড ফরচুন’, প্রাচীন ধ্রুপদী সিনেমা ঘিরে বৈষম্যের গল্প পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শিক্ষার্থী লামিয়া হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

এক সপ্তাহেই হারালেন স্ত্রী-সন্তান, শেষে নিজেও চলে গেলেন… আগুনে ভস্মীভূত হলো পটুয়াখালীর রিপনের স্বপ্নের সংসার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

জীবিকার তাগিদে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন রিপন প্যাদা। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ছোট্ট একটি সংসার। কিন্তু এক ভয়াবহ আগুনে এক সপ্তাহেই হারালেন পরিবার—প্রথমে মেয়ে, তারপর দুই ছেলে, স্ত্রী এবং সবশেষে নিজেও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার যুগিরহাওলা গ্রামের বাসিন্দা রিপন প্যাদা (৩৫) বছর সাতেক আগে জীবিকার খোঁজে ঢাকায় পাড়ি দেন। শুরু করেন ভ্যান চালানো। তিন বছর আগে স্ত্রী চাঁদনী বেগম (৩০), দুই ছেলে তামিম (১৬) ও রোকন (১৩) এবং পরে দেড় বছরের মেয়ে আয়েশাকে নিয়ে আসেন ঢাকায়।

সূত্রাপুরের কাগজি টোলায় পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন তারা। গড়ে উঠেছিল ছোট, কিন্তু আনন্দে ভরা এক পরিবার।

১১ জুলাই গভীর রাতে সেই বাসায় ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। সবাই ছিলেন ঘুমন্ত অবস্থায়। দগ্ধ হন পরিবারের পাঁচ সদস্যই। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভর্তি করা হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে

  • ১৪ জুলাই: প্রথম মৃত্যু হয় শিশু আয়েশার।

  • ১৬ জুলাই: মারা যায় দুই ভাই, তামিম ও রোকন।

  • একই দিন: মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান মা চাঁদনী।

  • ১৮ জুলাই: মৃত্যুর একদিন পর রাতেই খবর আসে, রিপনও মারা গেছেন।

  • আয়েশা: জুরাইন কবরস্থানে

  • তামিম ও রোকন: যুগিরহাওলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে

  • চাঁদনী: পিত্রালয় সামুদাবাদ গ্রামে

  • রিপন: দুই ছেলের পাশেই

রিপনের বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম ছিলেন গ্রামের বাড়িতে। ছেলের পাঠানো টাকায় চলতো তার দিন। এখন একমাত্র ছেলেকেও হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তিনি। বলার শক্তি নেই, শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। কেবল একটাই কথা, “আল্লাহ ছাড়া আমার আর কেউ নাই…

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, “এটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। একটি পরিবারের পাঁচজন একসাথে মারা গেছে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু আমরা কখনো দেখিনি। সরকারের উচিত রিপনের মায়ের পাশে দাঁড়ানো।”

রিপনের ফুফাতো ভাই সিরাজ হোসেন বলেন, “তারা খুব সাধারণ মানুষ ছিল। কীভাবে আগুন লাগল, এখনো কেউ নিশ্চিত না।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট