
মস্কো ভিত্তিক পেট্রোমার্কেট কনসালটেন্সির অনুমান অনুযায়ী, রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় পূর্বদিকে ঝুঁকে পড়ে ২০২৬ সালে চীনে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ ৪০% বৃদ্ধি করে ১১.২৫ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছাতে পারে।
ইউক্রেনে ২০২২ সালের আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া ইউরোপ থেকে চীন ও ভারতের দিকে তেলের প্রবাহ পুনর্নির্দেশিত করেছে। গত ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাশিয়ান এলপিজির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর মস্কো চীনে প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলপিজি রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানত গাড়ির জ্বালানি, গরম করার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পেট্রোকেমিক্যাল উৎপাদনে ব্যবহৃত এলপিজি বা প্রোপেন ও বিউটেনের চাহিদা এশিয়ায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পেট্রোমার্কেট কনসালটেন্সি জানিয়েছে যে, রাশিয়ার চীনে এলপিজি রপ্তানি এই বছর ৪.১৬ লাখ টন থেকে বেড়ে ৮ লাখ টনে পৌঁছাবে এবং ২০২৬ সালে এটি আরও বেড়ে ১১.২৫ লাখ টন হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাণিজ্যিক প্রবণতা অনুসারে রাশিয়ার চীনে রপ্তানির আরও সম্ভাবনা রয়েছে।
তুরস্ক, মঙ্গোলিয়া, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, আজারবাইজান, আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানসহ অনেক দেশে এলপিজি রপ্তানি করলেও চীন এখন রাশিয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পরিণত হচ্ছে। গাজপ্রমের (GAZP.MM) পূর্ব সাইবেরিয়ার আমুর গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা এই বছর গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ শুরু করার পর থেকে চীনে এলপিজি রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। গত সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবার্গে এক সম্মেলনে গাজপ্রমের ম্যানেজার সের্গেই স্টেপানভ জানান যে, কারখানাটি মূলত চীনে এলপিজি সরবরাহ করছে, যদিও তিনি কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেননি। শিল্প সূত্র অনুসারে, আমুর গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কারখানাটি বর্তমানে প্রতি মাসে ৪০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টন এলপিজি উৎপাদন করছে।