
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর ৪নং ওয়ার্ডে এক মাদক সেবনকারী ও কথিত পাগোলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহুতি পেতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জনগন। গতকাল ভোলার একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকার মোঃ আনিছের ছেলে নাজিম গংরা বাপ্তা মৌজায় ৫২ শতাংশ জমির মালিক হইয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলেন, কিছুদিন পূর্বে ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যুচক্রের মূল হোতা মাদক সেবনকারী ও কথিত পাগোল মোঃ তোফাজ্জলের ছেলে সুজন গংদের। বিগত দিনে এ চক্রের লোকেরা নাজিম গংদের ভোগ দখলীয় জমি হতে সমুলে উৎখাৎ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থেকে। এমতাবস্থায় নাজিম গংরা ভোলা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেণ। গত ২৮ নভেম্বর সুজন গংরা নাজিম গংদের সুপারী বাগানে অনাধীকার ভাবে প্রবেশ করে। এসময় সুপারী পারাকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডের এক পর্যায়ে সুজন, জসিম ও মিরাজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাজিম গংদের উপর বেপরোয়া হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায়, নাজিম, নাজিমের বাবা, আনিছ, ভাই রিয়াজ ও স্ত্রী শিউলি বেগম গুরুতর অহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে নাজিমের বাবা আনিছের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে রেফার করে। অন্যদিকে সন্ত্রাসীরা নাজিমদের সুপারী বাগানের সকল সুপারীগুলো পেরে লুটকরে নিয়ে যায়। তাছাড়া তারা মামলার ৫নং স্বাক্ষি রিয়াজের ঘরে প্রবেশ করে ৬ বস্তা সুপারীসহ মোট ৮০ভি সুপারী ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬৪ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে নাজিমের স্ত্রী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬২৯। অন্যদিকে ভূক্তভোগীদের দাবী সুজন গংরা নাটক সাজিয়ে আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে এবং আমাদের নামে সামাজিক যোগাযোগে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছে। আমরা এ মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, সন্ত্রাসী সুজন গংরা যে বাড়িতে থাকে সে যায়গাটি স্থানীয় একটি মসজিদের সম্পত্তি। মসজিদ কমিটির আপত্তি ও অভিযোগ থাকা সত্যেও এ যায়গাটি তারা পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে যবর দখল করে রেখেছে। এমতাবস্থায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জনগন।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুজন গংরা তাদের অভিযোগ অস্বীকার করে।