
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৮ (র্যাব-৮) ও সিপিএসসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে মহিপুর থানাধীন পশ্চিম সাউত্রা এলাকা থেকে ট্রলার মাঝি শহিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় দীর্ঘদিন পলাতক প্রধান অভিযুক্ত মোঃ সোহেল ফকির (৩৪) কে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, মহিপুর চঞ্চলে ট্রলারের মাঝি শহিদুল ইসলামকে হত্যার মামলার অভিযোগকারী মোঃ রাসেল হাওলাদার (৪০) নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই। শহিদুল ইসলাম ট্রলারের মাঝি হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঘটনার পটভূমি অনুযায়ী, অভিযুক্তরা শহিদুল ইসলামের ট্রলারের জন্য ইব্রাহিমের কাছ থেকে ২,৪০০ টাকা পাওয়ার দাবি করে তাকে অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করত। শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলে অভিযুক্তরা অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে ঘটনাটি ঘটে। শহিদুল ইসলাম তার বাসস্থান বাজরা আবাসনে ঘরের সামনে কাজ করার সময় প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির লোহার রড দিয়ে তার মাথা লক্ষ্য করে সজোরে আঘাত করে। এতে শহিদুল ইসলামের মাথার ডান পাশে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অন্যান্য অভিযুক্তরা তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। অভিযোগকারীর ডাক-চিৎকারে লোকজন আসলে শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে কুকুরাকাটা ভুয়ালী ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর অভিযোগকারী মোঃ রাসেল হাওলাদার মহিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলেও দীর্ঘদিন প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির পলাতক ছিলেন। উল্লেখ্য, সোহেল ফকিরের বিরুদ্ধে মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৮, সিপিএসসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার রাশেদ এ বিষয়ে বলেন, “গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে র্যাব এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে।
স্থানীয় মহলে র্যাবের এই অভিযানকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অভিযোগকারী রাসেল হাওলাদার বলেন, “দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর আমার ভাইয়ের হত্যাকারীকে ধরা পড়ায় আমি আনন্দিত। আমি আশা করি আদালত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে।”