
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এই দিনে সৈনিক ও সাধারণ মানুষের একত্রে সংঘটিত বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছিল। এই দিনটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কাছে এক বিশেষ তাৎপর্যময় দিবস। প্রতিবছর দলটি এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে।এই বছরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে সামনে রেখে বিএনপি মনোনয়নপ্রাপ্ত নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার নিজ এলাকায় বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তিনি বর্তমানে নওগাঁ-১ আসনের (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) মনোনীত প্রার্থী। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সংগঠনের কর্মীদের একত্রিতকরণ এবং দলের কার্যক্রমকে গতিশীল করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের প্রস্তুতি মূলত তিনটি দিককে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে
রাজনৈতিক সংগঠন শক্তিশালীকরণ: তিনি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরু করেছেন। দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা, আলোচনা অনুষ্ঠান ও বিপ্লব দিবসের প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস করেন, রাজনীতির আসল শক্তি জনগণ। তাই তিনি মাঠে নেমে কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও তরুণ ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করছেন। মানুষের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। এইভাবে তিনি জনমনে আস্থা তৈরি করতে সচেষ্ট।জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মূল বার্তাই হলো ঐক্য। সেই বার্তা বাস্তবায়নে তিনি দলের ভেতরে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংহতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, দলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলেই যে কোনো রাজনৈতিক সংগ্রামে সাফল্য অর্জন সম্ভব।বিএনপি ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান নিজের এলাকায়।দোয়া মাহফিল,আলোচনা সভা,র্যালি ও প্রচারণা কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের অর্জন ও বিপ্লব দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে বিশেষ প্রচারপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা হচ্ছে স্বাধীনতা, জাতীয় ঐক্য ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আমি সেই চেতনা নিয়েই কাজ করব।” তার এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তিনি শুধু রাজনৈতিক প্রচারণা নয়, আদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ নিয়েও রাজনীতি করতে চান।সব মিলিয়ে বলা যায়, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি মনোনয়নপ্রাপ্ত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের বিশেষ প্রস্তুতি কেবল আনুষ্ঠানিক নয়, বরং এটি তার রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রকাশ। জনগণের কল্যাণে কাজ করা, দলের ঐক্য বজায় রাখা এবং ঐতিহাসিক দিবসের মূল্যবোধ বাস্তবায়ন করা — এই তিনটি লক্ষ্যই তার প্রস্তুতির কেন্দ্রবিন্দু। এভাবে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বার্তাকে আরও জীবন্ত করে তুলছে।