মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার জেরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে, অপহরণকারী ও ভিকটিম (কলেজছাত্রীর) সিডিআর (কল রেকর্ড ডিটেইলস) তোলে অবস্থান নিশ্চিত করে দেওয়ার পরও থানা পুলিশ অপহৃতা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রকে গ্রেপ্তারে নেই কোন তৎপর ভূমিকা।
এছাড়া অপহৃত কলেজছাত্রীর নানি থানায় অপহরণ মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে বড়লেখা থানার ওসি জানান, একই বিষয়ে সাধারণ ডায়রি তদন্তাধীন থাকায় অপহরণের অভিযোগটি নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব-দৌলতপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাজেরা বেগমের নাতনি বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে শ্রীধরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে শামীম আহমদ উত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। কলেজছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে। এরই জেরে গত ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে কলেজছাত্রী হাবিবা আক্তার প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় শামীম আহমদ ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক একটি নোহা গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে। ঘটনার দুদিন পর ভিকটিমের নানি সাবেক ইউপি সদস্য হাজেরা বেগম থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
হাজেরা বেগম অভিযোগ করেন, থানায় জিডির পর পুলিশের পরামর্শে কয়েক হাজার টাকা ব্যয়ে সিডিআর তোলে ভিকটিম ও অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করেন। পুলিশকে জানানোর পরও উদ্ধারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উদ্ধার অভিযানের জন্য দু’দিন নোহা গাড়ি নিয়ে থানায় গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড়মাস ধরে নানান জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। অপহরণে জড়িত চক্রের সকল তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভিগটিম পরিবার।
এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, ভিকটিম কলেজছাত্রীর আগেও একই ব্যক্তির সাথে গিয়েছিল। সে সময় পুলিশ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে দিয়েছে। ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান শুরুর আগেই স্থান পরিবর্তন করে। বাদি হাজেরা বেগম হবিগঞ্জের মাধবপুরে তাদের অবস্থানের কথা বললেও তখন তারা বরিশালের ভোলায় অবস্থান করেছিল। একই বিষয়ের সাধারণ ডায়রি তদন্তাধীন অবস্থায় থাকায় তিনি অপহরণের অভিযোগটি নেননি বলে জানান।