আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের মতো অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর চাহিদাও দ্রুত বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নীতি পরিবর্তন মার্কিন মুদ্রার মান কমাতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের ডলার অবমূল্যায়নের আশঙ্কা এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা সোনার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে “নিরাপদ আশ্রয়” হিসেবে সোনার অবস্থান আরও মজবুত হচ্ছে।
লন্ডন ও নিউইয়র্কের বুলিয়ন বাজারে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সোনার লেনদেন রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ঘাটতি, সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতি, এবং প্রশাসনিক নীতির অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের বিকল্প সম্পদে ঝুঁকতে বাধ্য করছে।
এদিকে রুপার দামও বছরে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, এবং শিল্পখাতে চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগমূলক ক্রয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামেও ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে মূল্যবান ধাতুর বাজারে এক ধরনের “সেফ হেভেন র্যালি” তৈরি করেছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি মুদ্রানীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও গভীর হয়, তাহলে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলার অতিক্রম করতে পারে—যা হবে ইতিহাসে প্রথম।