মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের মূল প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়া অ্যাভিয়েশন গ্রুপ (এমএজি) বিশ্বখ্যাত চার প্রযুক্তি ও পেমেন্ট পার্টনার—অ্যাডোবি, গুগল, স্কাইস্ক্যানার ও ভিসার সঙ্গে সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে; টার্গেট একই—অনলাইন টিকিটিং ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ডিজিটালভাবে পুনর্গঠন করে গ্রাহক সন্তুষ্টি ও রাজস্ব দুটোই বাড়ানো।
সোমবার ভোর ৬:৫৯ টিইউটিসিতে প্রকাশিত বিবৃতিতে এমএজি জানায়, বহুবছরের এই “ক্লাউড-ফার্স্ট” চুক্তির আওতায়—
অ্যাডোবি এক্সপিরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েব-অ্যাপ এক্সপিরিয়েন্স পার্সোনালাইজেশন, রিয়েল-টাইম অফার ও ই-মেইল ক্যাম্পেইন স্বয়ংক্রিয় করা হবে।গুগল ক্লাউডের বিগকোয়ারি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস দিয়ে ফ্লাইট সার্চ, ডাইনামিক প্রাইসিং ও কাস্টমার সার্ভিস চ্যাটবট আপগ্রেড করা হবে।স্কাইস্ক্যানারের “ডাইরেক্ট বুকিং” এপিআই সংযুক্ত করে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের নিজস্ব চ্যানেলে বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়নের বেশি মাসিক এক্টিভ ইউজারের কাছে টিকিট বিক্রি সম্ভব হবে। ভিসা ওয়ার্লউইডের সিকিউর পেমেন্ট টেকনোলজি, টোকেনাইজেশন ও ইনস্টলমেন্ট সল্যুশন যুক্ত হবে চেক-আউট পেজে, যাতে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন সহজ ও প্রতারণা কমে যায়।
এমএজি-এর গ্রুপ সিইও ইজাহ ইসমাইল বিবৃতিতে বলেন, “এই জোট আমাদের ডিজিটাল ফার্স্ট কৌশলের মেরুদণ্ড; এখন গ্রাহক একই প্ল্যাটফর্মে সার্চ থেকে চেক-আউট পর্যন্ত ৯০ সেকেন্ডে টিকিট নিশ্চিত করতে পারবেন।” তিনি আরও জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে অনলাইন রাজস্ব অনুপাত ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া ও পরিচালন ব্যয় ১৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চার গ্লোবাল টেক দৈত্যের সহায়তায় এমএজি “নতুন বিজনেস মডেল” তৈরি করল, যা প্রতিযোগী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ও গারুডা ইন্দোনেশিয়াকেও চাপে ফেলতে পারে।