পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এক মসজিদের ইমামকে গলাকেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা সামছুল হকের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা হাজিরহাট বাজারের একটি দোকানে ইমাম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাকে
এবং গলাকেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ইমাম হামজা তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে বিষয়টি জানালে হয়।পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিরহাট গ্রামের বায়তুল ফজল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাকে গলাকেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা সামছুল হকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা হাজিরহাট বাজারের একটি দোকানে বসেছিলেন উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা সামছুল হক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির চৌকিদারসহ স্থানীয় কয়েকজন। সেখানে মসজিদের ইমাম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা গেলে মাওলানা সামছুল হক তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন এবং গলাকেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
পরবর্তীতে ইমাম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে বিষয়টি জানান। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ইমাম হামজা বলেন, “জুমার নামাজ শেষে আমি চায়ের দোকানে যাই। সেখানে উপস্থিতদের মধ্যে মাওলানা সামছুল হক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং গলাকেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই, কেন এমন করলেন আমি জানি না। বিষয়টি আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা সামছুল হক বলেন, “
নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ইমামের সঙ্গে আমার কোনো কথাই হয়নি। তিনি কিছু লোকের উসকানিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করছেন।”অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির চৌকিদার বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম, ইমামের সঙ্গে ওলামা দলের সভাপতির কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ দেখিনি। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে যেভাবে পোস্ট করা হয়েছে তা সত্য নয়।”
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আলীম তালুকদার বলেন, “ঘটনার বিষয়ে ইমাম আমাকে জানিয়েছেন।
করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”