ভারত সরকার পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে, যা চালক কোম্পানিগুলির দায়বদ্ধতার সীমা ১৫০০ কোটি রুপয়ের (প্রায় ১৬৯ মিলিয়ন ডলার) বাইরের ক্ষয়ক্ষতি কভার করবে। এই উদ্যোগটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহকারী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির ঝুঁকি ভাগাভাগির উদ্বেগ কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: ভারতের পারমাণবিক শক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকার একটি নতুন দায়বদ্ধতা তহবিলের ধারণা বিবেচনা করছে। এই তহবিলটি ২০১০ সালের পারমাণবিক দায়বদ্ধতা আইনের অধীনে চালকদের উপর আরোপিত ১৫০০ কোটি রুপয়ের সীমানার বাইরের দুর্ঘটনা-সংশ্লিষ্ট ক্ষতিপূরণ মেটাবে। সরকারি সূত্রগুলির মতে, এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক সাপ্লায়ারদের মধ্যে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা দূর করতে সাহায্য করবে, যা ভারতের পারমাণবিক প্রকল্পে অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করে আসছে।
পারমাণবিক খাতের বিশেষজ্ঞরা জানান, এই আইনটি চেরনোবিল এবং ফুকুশিমার মতো ঐতিহাসিক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলির মধ্যে দায়বদ্ধতা ভাগাভাগির একটি মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল। তবে ভারতের আইনটি সাপ্লায়ারদের উপরও দায় চাপিয়ে দেওয়ায় বিদেশি কোম্পানিগুলি সতর্কতা অবলম্বন করছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “এই তহবিলটি ঝুঁকি ভাগাভাগির একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান প্রদান করবে, যা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।” এই উদ্যোগটি এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
যদিও এই পরিকল্পনা পারমাণবিক শক্তির বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে পারে, তবে পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলি দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নিরাপত্তা মানদণ্ডের উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।