এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে ছয় উইকেটের জয়ের পর ভারত অধিনায়ক সূর্যাকুমার যাদব সাফ জানালেন, এখন আর পাকিস্তানকে ‘রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বী’ বলা যায় না। টানা সাতটি টুর্নামেন্ট জয় ও হেড-টু-হেড রেকর্ডে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ‘চির-প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ (rivalry) শব্দটির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
রবিবার রাতে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারত ২৮.৩ ওভারে ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় নিশ্চিত করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের টানা অষ্টম জয়; শেষবার ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের পর থেকে আর কোনো আইসিসি বা এশিয়া কাপ ম্যাচে পাকিস্তান জিততে পারেনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সূর্যাকুমার বলেন, ‘‘আমরা সম্মান রাখি, কিন্তু পরিসংখ্যান বলে ৮-০। যখন ফলাফল একপেশে হয়, তখন এটা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে না। আমাদের কাছে এখন অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের মতো দলই কঠিন চ্যালেঞ্জ।’’
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম অবশ্য ভিন্ন সুরে বলেন, ‘‘একটি ম্যাচে হার মানেই দলের মান খারাপ—এমন নয়। বিশ্বকাপের আগে আমাদের সময় আছে ঘুরে দাঁড়ানোর।’’
২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের পর থেকে আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের জয় শূন্য। বিপরীতে ভারত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ এশিয়া কাপ—তিনটিতেই পাকিস্তানকে হারিয়েছে।
সাবেক পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনুস টেলিভিশনে মন্তব্য করেন, ‘‘মানসিক চাপে আমরা জমি হারিয়েছি। সূর্যাকুমারের কথা কঠিন শোনালেও সত্যি—আমাদের পারফরম্যান্স প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান রাখছে না।’’
ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় জোর দেন, ‘‘আমরা প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্ব দিই। তবে সাম্প্রতিক সাফল্যের পর খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, এটা স্বাভাবিক।’’
আগামী ১৫ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; পাকিস্তানের কোচিং স্টাফ ইতিমধ্যে মানসিক কাউন্সেলর নিয়োগের কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।