1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

 বৈশ্বিক তেল-গ্যাস ক্ষেত্রের স্বাভাবিক পতনের হার বাড়ছে, বিনিয়োগ না বাড়লে উৎপাদন ধরে রাখাই কঠিন: আইইএ

ঢাকা বুলেটিন ডিজিটাল ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (IEA) জানিয়েছে, বিশ্বের ক্রিয়াশীল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর “স্বাভাবিক পতনের হার” (natural decline rate) গত পাঁচ বছরে গড়ে প্রতি বছর ০.৮ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালে ৮.১%-এ পৌঁছেছে, যা গত দশকের সর্বোচ্চ। শেল ও গভীর সমুদ্রের উচ্চ-পতনাঙ্ক সম্পদের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় বর্তমান উৎপাদন স্তর ধরে রাখতেই এখন গত দশকের তুলনায় ৩০% বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে।

প্যারিসভিত্তিক আইইএ-এর “ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক ২০২৫ (প্রি-রিলিজ)” অনুযায়ী—
– ২০৩০ সালের মধ্যে শেল ও গভীর-জলের উৎপাদন বিশ্ব মোট সরবরাহের ৩৫% ছাড়িয়ে যাবে; কিন্তু এসব ক্ষেত্রের প্রথম-বর্ষ পতন হার ১৫-২৫%, যা কনভেনশনাল ক্ষেত্রের দ্বিগুণ।
– সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন মাঠ আবিষ্কারের হার ২০১০-এর অর্ধেক; ফলে উৎপাদন ক্ষতিপূরণের জন্য প্রতি বছর ৪.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ও ১২০ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের নতুন ক্ষমতা যোগ করতে হবে।
– বর্তমান প্রবৃদ্ধির পথে ২০৩৫ সাল নাগাদ বার্ষিক মূলধন ব্যয় ৬৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে হবে; অথচ ২০২৪ সালে খাতটি ব্যয় করেছে ৫২০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ঘাটতি ২৫%।

“উৎপাদন বজায় রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে,” বলেন আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল। “যদি বিনিয়োগ না বাড়ে, ২০৩০ সালের মধ্যে সরবরাহ ঘাটতি ৩-৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল-সমতুল্য প্রতিদিনে পৌঁছাতে পারে, যা ভোক্তাদের জন্য উচ্চ মূল্য ও বাজার অস্থিরতার ইঙ্গিত,” তিনি যোগ করেন।

শেল খাতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্মিয়ান বেসিনের উৎপাদন গত দুই বছরে ১.২ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন বেড়েছে; কিন্তু উচ্চ-পতন হারের কারণে প্রতি বছর ৬০% নতুন ভেল “শুধু ক্ষতিপূরণ” কাজে ব্যয় হচ্ছে। নরওয়ের জোহান সভেড্রপ, ব্রাজিলের প্রি-সাল্ট ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদনক্সও একই চাপে রয়েছে। আইইএ জানায়, গভীর-সমুদ্র ক্ষেত্রগুলোর গড় উৎপাদন জীবন ৭ বছরে নেমে এসেছে, যা ২০০০ সালের অর্ধেক।

জ্বালানি কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মূলধন ব্যয় বাড়ানোর আগে তারা দীর্ঘমেয়াদী চাহিদা নিশ্চয়তা ও নীতি স্থিরতা চায়। শেল-জায়ান্ট ডায়মন্ডব্যাক এনার্জির সিইও ট্র্যাভিস স্টাইসেল বলেন, “উচ্চ পতন হার মানেই উচ্চ রিপ্লেসমেন্ট খরচ; শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের চাপে আমরা কেবল উৎপাদন বাড়াতে পারি না”। ইউরোপীয় তেল মেজর শেল ২০২৫ সালে ক্যাপেক্স ১৫% বাড়িয়ে ২৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করলেও, তার ৭০% নির্গমন-হ্রাস ও নবায়নযোগ্য প্রকল্পে যাচ্ছে।

আইইএ প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে—
১. সরকারগুলোর উচিত শেল ও গভীর-সমুদ্ধ ক্ষেত্রে দ্রুত অনুমোদন প্রক্রিয়া, তবে পরিবেশগত নজরদারি বজায় রাখা;
২. উত্তোলন-প্রযুক্তি (EOR, CCUS) উন্নয়নে গবেষণা-ভর্তুকি বাড়ানো;
৩. নতুন কনভেনশনাল ক্ষেত্র আবিষ্কারে সিসমিক জরিপ ও খনিজ-ডাটা উন্মুক্ত করা।

“বিনিয়োগ না বাড়লে ভবিষ্যতে উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি সরবরাহ সুরক্ষাঝুঁকি বাড়বে,” সতর্ক করেন বিরোল। প্রতিবেদনটি পূর্ণাঙ্গভাবে অক্টোবরে প্রকাশিত হবে, যেখানে নীতি-কৌশল ও খাত-ভিত্তিক পথনির্দেশ দেওয়া হবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট