ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর (DRC) পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীর একটি উপনদীতে একটি ওয়েলবোটে আগুন লাগার পর ডুবে যাওয়ায় কমপক্ষে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৪৬ জন অন্তর্ভুক্ত। নৌকাটি বাজার ব্যবসায়ীদের বহন করছিল এবং অতিরিক্ত লোড এবং জ্বালানি ফুটোকে সন্দেহজনক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘটনাটি লুকোলেলা অঞ্চলের মালাঙ্গে গ্রামের কাছে কঙ্গো নদীর উপর ঘটেছে, যেখানে সংকীর্ণ, দ্বিমুখী খোলা নৌকা—যা ওয়েলবোট নামে পরিচিত—যাত্রী এবং কার্গো বহন করছিল। সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে, উদ্ধারকারীরা ২০৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আহত। অনুসন্ধান অভিযান চলমান রয়েছে এবং শুক্রবার পর্যন্ত ১৪৬ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অধিকারীরা জানিয়েছেন যে, নৌকায় আগুন লাগার পর তা ডুবে যায়, এবং সন্দেহ করা হচ্ছে যে অতিরিক্ত লোড এবং জ্বালানির ফুটো এর কারণ হতে পারে। কঙ্গোর নদীপথে পরিবহন দুর্ঘটনা প্রায়ই অতিরিক্ত লোড, দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ এবং রাতকালীন নৌচালনার কারণে ঘটে, যদিও এই নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও নিশ্চিত হয়নি। আগুনটি নৌকার কার্গো ধ্বংস করেছে এবং নদীর তীরে ১৫টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে নৌবাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা নদীর তীর অনুসন্ধান করছেন। সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রক বলেছে, আহতদের চিকিত্সা প্রদান, শোকাহত পরিবারগুলোর সহায়তা এবং যাত্রীদের উৎস এবং গন্তব্যে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। একটি সরকারি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে এই বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে।
কঙ্গোর বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে নদীপথই প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা, যেখানে পুরনো কাঠের নৌকা গ্রামগুলোর মধ্যে যোগাযোগের মূল মাধ্যম। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘন ঘন ঘটে, যেমন সাম্প্রতিককালে বাসানকুসু অঞ্চলে এনসলো এবং গ্রেট মারিঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে একটি মোটরবোট ডুবে যাওয়ায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছে, যা অতিরিক্ত লোড এবং রাতকালীন নৌচালনার কারণে ঘটেছে। এই দুর্ঘটনাগুলোর উদ্ধার অভিযান প্রায়ই সীমিত সম্পদ এবং দুর্গম অবস্থানের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়।
এই ঘটনা কঙ্গোর নদীপথ পরিবহনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরেছে, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রার জন্য অপরিহার্য কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ।