পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় তালা ভাঙ্গার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিবেদন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাদ্রাসার গণিতের সহকারী শিক্ষক মোঃ শফিউল ফরহাদ লোহার হাতুড়ি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের কক্ষের তালা ভাঙ্গছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মৌলভী মোঃ মাসুম বিল্লাহসহ আরও কয়েকজন।
মোঃ শফিউল ফরহাদ স্বীকার করেছেন যে, তালা ভাঙা হয়েছে। তিনি বলেন, তালা মারার আগে ইউএনও মৌলভী মাসুম বিল্লাহকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাই তার কক্ষে অন্য কেউ তালা মারার কোনো অধিকার ছিল না। তিনি আরও বলেন, তালা ভাঙার নির্দেশ ইউএনও থেকে এসেছিল।
অন্যদিকে, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ নজির উদ্দিন মৃধা গত ৩১ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করেন যে, মাসুম বিল্লাহ ও তার সহযোগীরা তার কক্ষের তালা ভেঙে চেয়ার কাদায় ফেলে দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তাকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্তির পর তার বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়।
মৌলভী মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার দেওয়া তালার উপর নজির উদ্দিন মৃধা ও এডহক কমিটির সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ দুটি তালা মেরেছিলেন। তিনি এটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ বলে উল্লেখ করেন এবং নিজেই ইউএনওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এডহক কমিটির সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং নিরসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।