পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে ইউনিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট চালক ও হেলপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। পাশাপাশি দায়ী চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাতিল করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
ঘটনাটি ঘটে গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা–গামী ইউনিক সার্ভিসের একটি বাসে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই যাত্রায় দায়িত্বপ্রাপ্ত চালক মো. জসিম উদ্দিন ও হেলপার মো. শাকিল পবিপ্রবির এক শিক্ষকের প্রতি অশোভন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। মুহূর্তের মধ্যেই এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইউনিক পরিবহনের নিজস্ব প্যাডে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট চালক ও হেলপারকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বরখাস্ত চালক ভবিষ্যতে কোনো পরিবহন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন না।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এ. মিজু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সম্মানিত যাত্রীদের মর্যাদা রক্ষায় ইউনিক পরিবহন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেজন্য আমরা কঠোর নজরদারি ও শৃঙ্খলাবিধি জোরদার করছি।”
ঘটনা জানাজানি হলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, দৃষ্টান্তমূলক এ ব্যবস্থা যাত্রীসেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। বিকেলে সংশ্লিষ্ট চালক মো. জসিম উদ্দিন ও হেলপার মো. শাকিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের কাছে সরাসরি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, পরিবহন খাতে যাত্রী সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।