
ফরাসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিস্প (DGCCRF) বুধবার ঘোষণা করে যে, ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার ও সম্মতি-প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় গুগলকে ৩৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, লঙ্ঘনের তীব্রতা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃতির কারণে এত বড় অঙ্কের শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
Body: তদন্তে দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গুগলের ফ্রান্সভিত্তিক পরিষেবায় “অপট-ইন” বিকল্পগুলো অস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল; ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেননি তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে এবং কতটা শেয়ার হচ্ছে। ক্রিস্পের মহাপরিচালক অ্যালেন গ্রিসেট বলেন, “এই জরিমানা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ইউরোপীয় ভোক্তা অধিকার আইনের কোনো ব্যতিক্রম হবে না।”
ফরাসি প্রতিশোধ সংস্থা জানায়, গুগলের পক্ষ থেকে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য, তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগির বিস্তার এবং প্রত্যাহারযোগ্য সম্মতির প্রক্রিয়া—এই তিনটি দিকে স্পষ্টতা দেওয়া হয়নি। ফলে ব্যবহারকারীরা “তথ্য-নিয়ন্ত্রণের প্রকৃত ক্ষমতা” থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। জরিমানার অর্থ ৩৪০ মিলিয়ন ইউরোর সমতুল্য, যা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত প্রযুক্তি খাতে আরোপিত সবচেয়ে বড় ভোক্তা সুরক্ষা জরিমানা।
গুগলের এক মুখপাত্র ইমেইল বিবৃতিতে বলেন, “আমরা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি এবং সম্প্রতি আমাদের সম্মতি সেটিংসে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি যাতে ব্যবহারকারীরা আরও স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ পান।” তবে কোম্পানি জরিমানার পরিমাণ এবং আইনি ভিত্তি নিয়ে আপিল করার কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন (GDPR)-এর অধীনেও গুগলকে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রান্সের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ ইউরোপজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর আরও কঠোর নজরদারিরই ইঙ্গিত।