ভোলার চর কুকরী-মুকরীতে অ্যাডাপটেশন লার্নিং সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত “জলবায়ু সহিষ্ণু পদ্ধতিতে ভেড়া পালন” বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থানীয় ক্ষুদ্র খামারি ও নারী সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আশার সঞ্চার করেছে। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত এই একদিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ভেড়া পালনে আধুনিক ও জলবায়ু-সহনশীল কৌশল সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে ভেড়া পালন, উন্নত ব্যবস্থাপনা, বর্ষাকালে সীমিত জায়গায় অধিক ঘাস উৎপাদনের কৌশল এবং ভেড়া পালনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারীদের সারা বছর আয় বৃদ্ধির কৌশল এবং বর্তমান জলবায়ু বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে সচেতন করা।
গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার উপ-পরিচালক ও উক্ত প্রকল্পের টিম লিডার ডা. খলিলুর রহমান, চর কুকরী-মুকরী শাখার শাখা ইনচার্জ মো. হোসেন এবং অ্যাডাপটেশন লার্নিং সেন্টারের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মো. শোয়েবুল ইসলাম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ভেড়া পালনে উৎসাহিত করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে উঁচু জমি ও জলাবদ্ধ জমিতে চাষোপযোগী ঘাসের কাটিং, প্রয়োজনীয় সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ শুধু নিজেদের খাদ্য চাহিদাই পূরণ করতে সক্ষম হবে না, বরং ভেড়া বাজারজাতকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হতে পারবে।
অ্যাডাপটেশন লার্নিং সেন্টারের এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপক উৎসাহ ও সচেতনতা দেখে আয়োজকরা আশাবাদী যে, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে জলবায়ু সহিষ্ণু পদ্ধতিতে ভেড়া পালন প্রসারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং একটি টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি গঠনে সহায়ক হবে।