পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত সুপারের কক্ষের তালা ভেঙে চেয়ার ফেলে দেওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছের অভিযোগ তুলে মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ নজির উদ্দিন মৃধা মাদ্রাসা এডহক কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী মোঃ নজির উদ্দিন মৃধা জানান, গত ২৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মৌলভী মোঃ মাসুম বিল্লাহ কয়েকজন শিক্ষক ও তার দুই ছেলেসহ লোহার হাতুড়ি, রড ও শাবল নিয়ে আক্রমণ চালায়। তারা তার কক্ষের তালা ভেঙে ফেলেন এবং ভিতরে থাকা চেয়ার বাইরে কাদায় ফেলে দেন। এছাড়া, রুমে সংরক্ষিত দলিলপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করা হয়। তিনি বাধা দিলে তাকে মারার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেদিনও তার বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা চালানো হয় এবং তাকে লজ্জিত করা হয়। এ ঘটনায় তিনি মৌলভী মাসুম বিল্লাহসহ আট জনকে অভিযুক্ত করেন।
অভিযুক্ত মৌলভী মোঃ মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকেই ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এখনও সেই দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, নজির উদ্দিন মৃধা ও এডহক কমিটির সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ মিলে তার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা মেরে দেন। তালা ভাঙার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন এবং নিজেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং নিরসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।