ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে লোহার রড দিয়ে যুবক আবু তালেবকে হত্যার ঘটনায় পলাতক অন্যতম আসামি মোঃ সেলিম (৪৫) কে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্প সিপিসি-১ এর সদস্যরা আটক করেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্প সিপিসি-১ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ নামক তিন রাস্তার মোড়ে অভিযান চালিয়ে কালীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি মোঃ সেলিমকে (৪৫) আটক করা হয়। সেলিম ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার কাশিপুর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। আটকের পর তাকে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়, এবং সেখান থেকে কালীগঞ্জ থানায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার নিশ্চিত করেছেন যে, র্যাব-৮ কর্তৃক আটক এই আসামিকে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাকে কালীগঞ্জ থানায় পাঠানো হবে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, গত ২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নিহত আবু তালেব তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর মোঃ জবেদ আলীর বাড়িতে বেড়াতে যান। একই দিন রাত প্রায় ৩টার দিকে একই গ্রামের মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেন আবু তালেবের বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করেন। আবু তালেব বাইরে বের হলে রুবেল লোহার রডের ছুঁচালো অংশ দিয়ে তার বুকে আঘাত করেন। আঘাত ঠেকাতে গিয়ে তালেবের শ্বশুর জবেদ আলীও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবু তালেবকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত রুবেল হোসেনকে আটক করে।
তদন্তের অগ্রগতির অংশ হিসেবে র্যাব-৮ এর এই অভিযানে মোঃ সেলিমকে আটক করা হয়, যিনি এই হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।