“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি রবিবার (২৪ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১০টায় শুরু হয় এবং নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব ও টেকসই উন্নয়নের বার্তা প্রচার করা হয়।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাড়ে ১০টায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে অনুষদের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ মো. আবদুল লতিফ এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাত অপরিসীম অবদান রাখছে। আমাদের রপ্তানি আয়ের একটি বড় অংশ আসে মাছ ও মাছজাত পণ্য থেকে। শুধু অর্থনীতিই নয়, এই খাত গ্রামীণ কর্মসংস্থান, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের দায়িত্ব হচ্ছে আধুনিক গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সচেতনতার মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদকে আরও টেকসই ও সমৃদ্ধ করে তোলা। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই খাতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ও রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাকসহ অনুষদের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা সভার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলকমল লেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এই কার্যক্রম মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। মাছের পোনা পানিতে ছড়িয়ে দেওয়ার এই দৃশ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক নতুন আশার বার্তা বহন করে। কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে বেলা ১১টায়।