পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানাধীন আলীপুর বাজার-সংলগ্ন খালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে তিনটি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে পরিচালিত এই অভিযানে জব্দকৃত বোট থেকে সরঞ্জাম অপসারণের পর মুচলেকার ভিত্তিতে বোটগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিজামপুর স্টেশন এবং মৎস্য বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার আলীপুর বাজার-সংলগ্ন খাপড়াভাঙ্গা নদীতে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ মাছ ধরার কার্যক্রম রোধ করা এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অভিযানের সময় তিনটি আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়, যেগুলোর কাছে বৈধ কাগজপত্র বা লাইফ সেভিং ইকুইপমেন্ট ছিল না।
জব্দকৃত বোট থেকে অবৈধ মাছ ধরার সরঞ্জাম অপসারণ করা হয় এবং পরবর্তীতে বোট মালিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বোটগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। কোস্টগার্ডের একজন মুখপাত্র জানান, এ ধরনের অভিযান দেশের উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অবৈধ মাছ ধরার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও বলেন, “মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে কোস্টগার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এই অভিযানের প্রেক্ষাপটে জানা যায়, পটুয়াখালীর মহিপুর এলাকায় অবৈধ ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ ধরার কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য সম্পদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর আগেও এই এলাকায় একাধিক অভিযানে অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। গত জুন মাসে একই এলাকায় আরেকটি অভিযানে তিনটি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছিল, যা পরে মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই অভিযান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ অবৈধ মাছ ধরার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও, অনেকে মনে করেন যে, স্থানীয় জেলেদের জীবিকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা ২৪ ঘণ্টা টহল অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান জোরদার করা হবে। এর মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা এবং অবৈধ কার্যক্রম রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।