ভোলায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে শ্রী শ্রী মদনমোহন জিউর মন্দির থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
জেলা পূজা উদযাপন ফন্টের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পূজা, প্রার্থনা, আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও জন্মাষ্টমীর আয়োজনে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন ভক্ত-পুণ্যার্থীরা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর কয়েক হাজার ভক্ত-পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন মন্দির থেকেও শোভাযাত্রা বের হয়। সেখানে ছোট ছোট শিশু-কিশোররা শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা সেজে অংশগ্রহণ করে। ভক্তদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগের সন্ধিক্ষণে হিন্দুধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের ঘরে জন্ম নেন তিনি। সেই থেকে এ দিনটি জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দুষ্টের দমন, সৃষ্টের লালন এবং শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠার জন্যই তার আগমন হয়েছিল বলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন। তারা মনে করেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঈশ্বর ছিলেন।