পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন (৪০) চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাঠালতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহাদাত কাঠালতলী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাদাত হোসেন কাঠালতলী এলাকার সরোয়ার হোসেনের কাছে ৫,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এছাড়া, ব্যবসায়ী খুশি আক্তার ও দফাদার মো. শফিকুল ইসলামের দোকানে তালা মেরে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, তিনি কাঠালতলী ইউনিয়ন পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলামের কাছে ৫০,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং মসজিদের ৫০০ কেজি রড জোরপূর্বক নিয়ে যান। এ ঘটনায় ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম গত ২৪ জুলাই মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার রাত ১১টার দিকে মির্জাগঞ্জের সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল কাঠালতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, “শাহাদাত আমার সংগঠনের কেউ নন।” তবে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শাহাদাত দীর্ঘদিন ধরে মাধবখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে, এবং মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের চাঁদাবাজবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা এই গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মাধবখালী এলাকায় চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।