গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে আরও বহু মানুষ নিহত হওয়ার পর, হামাস একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্থায়ী যুদ্ধাবসানের নিশ্চয়তা দাবি করেছে।
মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও, হামাস বলছে—“কেবল সাময়িক বিরতি নয়, এই যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির লিখিত ও আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত গ্যারান্টি ছাড়া কোনো চুক্তি কার্যকর হবে না।”
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের “সন্ত্রাসী ঘাঁটি” লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে, তবে শিশু ও নারীদের ব্যাপক হতাহতের খবরে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতির রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বন্দি বিনিময় এবং ধাপে ধাপে সামরিক অভিযান বন্ধের প্রস্তাব রয়েছে।
তবে হামাসের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন—“যুদ্ধ বন্ধ হবে কিনা, তা নির্ভর করবে গ্যারান্টি এবং বাস্তব প্রতিশ্রুতির উপর। আমরা আর একতরফাভাবে প্রতারিত হতে চাই না।”
জাতিসংঘ, কাতার, এবং মিশর আলোচনায় যুক্ত রয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব এই পরিস্থিতিকে “মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্ত” বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আহ্বান এবং রাজনৈতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধ এখন একটি জটিল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে। হামাসের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে সমঝোতার পথ খোঁজা আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।