ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বিগত স্বৈরসাশক আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ক্রয়সূত্রের জমিতে যবর দখলের করে আসছে নুরে আলম শাহজাহান ,খলিল মহাজনসহ এক দল ভুমি দস্যুচক্র।
সূত্রে জানা যায়, নুরে আলম,শাজাহানসহ ভূমি দস্যুরা ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রতিকের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের কাছের লোক। সেই প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাদের সন্ত্রাসের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নী এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, চর রতনপুর মৌজা জে,এল নং-৭২, ২৬৮নং খতিয়ানে১৯৫৮/২০৭৮/২০৮২/২০৮৩/২০১৬, নং দাগে -২১৭ নং খতিয়ানে , ২০৯৬ নং দাগে ভুক্ত জমি ক্রয়সূত্রে মালিক থাকেন রোকেয়া বেগম । বর্তমান বিএস এ দাতার নিজ নামে রের্কড মালিক থাকেন। উক্ত বিএস খতিয়ান থেকে উক্ত দাগ থেকে দাতা তাজল ইসলাম নামে মালিক থাকিয়া তিনি রোকেয়া বেগম এর কাছে ১৭ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। কিন্তু ভুমিদস্যু নুরে আলমগংদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে উক্ত জমির উপর। জবর দখল করে নেন জমিটি। একাধিক বার তাদের সাথে জমির কাগজপত্র নিয়ে বসতে বললেও তারা বসতে অস্বীকৃতি জানায়। ভুমিদস্যু নুরে আলম, শাজাহান ও খলিল মহাজনসহ তাদের দলবলেরা রোকেয়া ও তার পরিবারকে জমির কাছে গেলে হামলা হত্যা হুমকি দেয়। এতে করে ভয়ে তারা তাদের ক্রয়কৃত জমিরে ভোগদখল থেকে বঞ্চিত হয়।
রোকেয়া ও তার পরিবার জমিটি ফিরে পেতে দেশের প্রশাসন, ভোলা দায়িত্বরত নৌ-বাহিনী,কোস্টর্গাড এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উক্ত বিষয়ে বিগত ১০-১-২২সালে ভোলা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ভুক্তভোগী পরিবার। কিন্তু আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে দায়িত্বরত থাকা পুলিশ মেনেজ করে ফেলে ভুমি দস্যুরা।
স্থানীয় অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, নুরে আলম স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে অনেকের জমি জোরপূর্বক দখল করে আছে। আওয়ামী লীগের পতনের পরে তার বিরুদ্ধে একাধিক জমি সংক্রান্ত মামলা হয়।তার পরে ও কোন এক অদৃশ্য কারনে নুরে আলমগংরা জোরপূর্বক দখল জমিগুলো ভোগ করে আসছে।
এখন আওয়ামী লীগের দাপট না থাকলেও টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।