ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দক্ষিণ বাটামারা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ জলিল মাষ্টারের ছেলে স্কুল শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিনের উপর হামলা চালিয়েছে, বাটামারা বায়তুল আমান জামে মসজিদ এর জুমার অস্থায়ী ঈমাম মাওঃ মোঃ ফারুক ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন, ভূক্তভোগী স্কুল শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন। থানার অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ইমাম ফারুক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী সে প্রতি শুক্রবারে জুম্মার নামাজ পড়াতে এসে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। গত ২৭-০৬-২০২৫ ইং তারিখে জুম্মার নামাজের আগে ইমাম ফারুক উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়। এসময় মসজিদের পরিস্থিতি ও পরিবেশ রক্ষার্থে স্থানীয় মুসল্লি ও স্কুল শিক্ষক নাজিম উদ্দিন মাষ্টার এর প্রতিবাদীমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুমোতি চাইলে মামলার অভিযুক্ত ১নং আসামী মাওঃ মোঃ ফারুক ও মোঃ শাফিজল জজ, (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, মোঃ সোহাগ (২২), পিতাঃ হোসেন বেপারী। মোঃ আব্বাছ (৪০), পিতাঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ সামছল পাটওয়ারী (৬৫), পিতাঃ মৃত মোঃ আজিজ পাটওয়ারী মোঃ নোমান (৩৫) পিতা- কালাম পাটওয়ারী। আরো অজ্ঞাত ২০/২৫ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে নাজিম উদ্দিন মাষ্টারকে গুরুতর আহত করে। সূত্রে জানাগেছে, স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিরব নামের এক ব্যক্তির সাথে নাজিম উদ্দিন মাষ্টারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলছিলো।এ সন্ত্রাসী নিরব মাওঃ ফারুককে লেলিয়ে দিয়েছে নাজিম উদ্দিন মাষ্টারের বিরুদ্ধে।সন্ত্রাসী নিরব দীর্ঘদিন যাবৎ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো নাজিম উদ্দিন মাষ্টারকে লাঞ্চিত করার জন্য।জানাগেছে, ২৭ জুন নিরবের পরিকল্পনা মোতাবেক নাজিম উদ্দিন মাষ্টারের উপর হামলা চালায় এ অস্তায়ী ইমাম মাওঃ মোঃ ফারুক।মামলার অভিযোগে বাদী নাজিম উদ্দিন মাষ্টার আরো জানান, এসময় সন্ত্রাসীরা মাওঃ ফারুকের নির্দেশে তার সহযোগীরা নাজিম উদ্দিন মাষ্টারের কাছে থাকা দুইটি স্বর্ণের আংটি নিয়ে যায়। এবং হাতের দামি ঘড়ি ছিনিয়ে নেয় ও তার সঙ্গে থাকা মানিবাগে ৫৫,৪৯০/-সহ মানি ব্যাগ নিয়ে যায়। অন্য এক মুসল্লির এনড্রোয়েড ভিভো ২০,০০০/- টাকা দামের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। অন্য এক মুসল্লির মুখে ঘুষি দিয়ে চশমা ভেঙ্গে ফেলে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ভূক্তভোগী নাজিম উদ্দিন মাষ্টার। এ ব্যপারে অভিযুক্ত মাওঃ ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে আভিযোগ অস্বীকার করে।