তেহরানে অবস্থিত berখ্যাত এভিন কারাগারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানি বিচার বিভাগ।
নিহতদের মধ্যে কারাগারের নিরাপত্তা সদস্য, সেনা কর্মকর্তা, বন্দি ও দর্শনার্থী রয়েছেন। এ হামলার পর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, কারণ এই কারাগারটিতে বহু রাজনৈতিক বন্দি ও বিদেশি নাগরিক বন্দি অবস্থায় আছেন।
ইসরায়েল-ইরান চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা ঘটে।
তেহরানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এভিন কারাগার দীর্ঘদিন ধরে ইরানের রাজনৈতিক বিরোধীদের বন্দি রাখার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে পশ্চিমা নাগরিকদের আটকের ঘটনাও নিয়মিত ঘটে থাকে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ইসরায়েলের “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক হামলার” অংশ হতে পারে।
এই হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বলা হচ্ছে, এধরনের আঘাতে বিদেশি নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মাত্রার সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিতে পারে, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে ইরান সীমান্তের বাইরেও।
বিশেষ করে, পশ্চিমা দেশগুলো যাদের নাগরিক এই কারাগারে বন্দি ছিলেন, তারা এখন সরাসরি কূটনৈতিক চাপের মুখে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন।
রাজনৈতিক বন্দি ও সাধারণ বন্দিদের ওপর সরাসরি হামলা কেবল সামরিক কৌশল নয়, এটি মানবিক সংকটও তৈরি করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এই ধরনের কারাগারে হামলা যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়তে পারে।