দক্ষিণাঞ্চলের সুপরিচিত সমাজকর্মী, শিক্ষানুরাগী ও মানবাধিকার নেতা জনাব জাকির হোসেন মহিন জনপ্রিয় স্থানীয় সংবাদপত্র ‘ভোলার বাণী’-এর সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই নিয়োগকে ভোলার গণমাধ্যম জগতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের মাইলফলক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় সুধী সমাজ।
জাকির হোসেন মহিন উপকূলীয় অঞ্চলের একজন অগ্রগণ্য উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব। তিনি গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৭ সালে তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার কর্মীর এক বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যার এক-তৃতীয়াংশ কর্মীই ভোলার স্থানীয়। এর মাধ্যমে তিনি এই অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও রেখেছেন অসামান্য অবদান।
সাংবাদিকতা দিয়েই জাকির হোসেন মহিনের কর্মজীবনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ভোলার সাংবাদিক মহলে তিনি তাঁর সততা, সাহস ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ভোলা জেলা সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের নেতৃত্বের দক্ষতার প্রমাণ দেন। পরবর্তীতে সমাজসেবা ও শিক্ষা প্রসারে পুরোপুরি মনোনিবেশ করলেও গণমাধ্যমের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা অটুট ছিল। বরিশাল বিভাগের একাধিক স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবেও তিনি শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
সমাজসেবা, শিক্ষা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাকির হোসেন মহিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ‘ভোলার বাণী’র সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে তিনি আবারও গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হলেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, জাকির হোসেন মহিনের দূরদৃষ্টি, অভিজ্ঞতা ও মানবিক মূল্যবোধ ‘ভোলার বাণী’-কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। তাঁদের প্রত্যাশা, তাঁর নেতৃত্বে পত্রিকাটি কেবল সংবাদ পরিবেশনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের অধিকার আদায়ের কণ্ঠস্বর এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার এক বলিষ্ঠ প্রতীক হয়ে উঠবে। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ‘ভোলার বাণী’ আরও জোরালো ভূমিকা পালন করবে—এমনটাই এখন সকলের বিশ্বাস।