ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের পুগলিয়ায় গত ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শিল্পোন্নত সাতটি দেশের সম্মেলন জি-৭-এর ৫০তম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে . এই বৈঠকে ক্যাথলিক গির্জার প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের অংশগ্রহণ ছিল বিশেষভাবে আলোচিত। এটি ছিল তাঁর প্রথম জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণ, যা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ।পোপ ফ্রান্সিস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এআই-এর নৈতিক পরিণতি, মানবিক মূল্যবোধের ওপর প্রভাব এবং এর মাধ্যমে ক্ষমতা কেন্দ্রীভবনের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিবেশ, দারিদ্র্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেন ।
🌍 আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু: গাজা, ইউক্রেন ও অভিবাসন
সম্মেলনের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা, আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নীতি . সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এসব বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।পোপের এই অংশগ্রহণ কেবল প্রতীকী ছিল না; বরং এটি ধর্ম ও প্রযুক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে . তবে এই সম্মেলন থেকে কতটা বাস্তব সমাধান পাওয়া যাবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষ করে গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুতে সম্মেলনে কোনো বড় সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়নি