পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন হর্টিকালচার বিভাগের খ্যাতিমান অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী। আজ, ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দুই বছর মেয়াদি এই নিয়োগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার গুণগত উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়, সদ্য বিদায়ী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন আজ দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। নতুন পরিচালক হিসেবে ড. মাহবুব রব্বানী প্রশাসনিক দিকনির্দেশনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আইকিউএসি-সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করবেন।
ড. মাহবুব রব্বানী পবিপ্রবির একজন অভিজ্ঞ ও গবেষণানুরাগী শিক্ষক। তিনি মনবুসু বৃত্তি নিয়ে জাপানের শিনশু ও গিফু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জাপানিজ সোসাইটি ফর হর্টিকালচারাল সায়েন্স-এর ‘ইয়ারলি বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত একজন গবেষক হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, কর্ডএইড, সিমিট, ইউসিডেভিস এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি পবিপ্রবিতে তিনটি অত্যাধুনিক গবেষণাগার—বায়োটেক ল্যাব, পোস্টহারভেস্ট ল্যাব এবং জার্মপ্লাজম সেন্টার—প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তার গবেষণার উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় ফলের নয়টি জাত উদ্ভাবন, যা কৃষি মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল সিড বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। তার তত্ত্বাবধানে ৬০ জন শিক্ষার্থী এমএস এবং ৮ জন পিএইচডি ডিগ্রির জন্য গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২২ সালে তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় স্থান পান। এছাড়া, তিনি শেরে-বাংলা হলের প্রভোস্ট, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালের প্রধান সম্পাদকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।
ড. মাহবুব রব্বানীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আইকিউএসি-কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহল আশাবাদী। তার নেতৃত্বে পবিপ্রবি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।