নীলফামারীর জলঢাকায় চিকিৎসক ও লোকবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা সেবা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে চার লক্ষ জনসংখ্যার জন্য রয়েছে মাত্র দুজন চিকিৎসক।
তাই জনবল সংকটে এভাবেই জোড়া তালি দিয়ে চলছে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০জন। এরই মধ্যে পুরুষ ১লক্ষ ৯১
হাজার ৫৪১জন,
মহিলা ১লক্ষ ৯৫ হাজার ২৪৯জন এবং শূন্য থেকে ১২ বছরের ১লক্ষ ২২ হাজার ৫৬৮ জন শিশু রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রথম শ্রেণীর মঞ্জুরীকৃত ৩৩ টি পদ থাকলেও কর্মরতর আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক। তারা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ও কর্মকর্তা ডা: কাজী মো: আতিকুল ইসলাম এবং রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডা:মেজবাহুর রহমান প্রধান। এর ফলে বিভিন্ন জটিল রোগ নিয়ে আগত আন্তঃবিভাগ ও বর্হি বিভাগের রোগীদের ভরসা নার্স। আর জরুরী বিভাগে আগত রোগীদের কেউ উন্নত চিকিৎসা নিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছে।
সেবা নিতে আসা আবুল হোসেন, আব্দুল গফুর, ও স্মৃতি বেগম বলেন,ডাক্তার না থাকায় আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করছি। আমরা বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার না পেয়ে নার্সদের ওপর চিকিৎসা নির্ভর থাকতে হচ্ছে। সঠিক মত পাচ্ছিনা রোগ নির্ণয় করার মত ডাক্তার। ভর্তি রোগীদের যেন একমাত্র নার্সরাই ভরসা।
এদিকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কর্মকর্তা তিনি প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ভর্তি রোগীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডা: মেজবাউল রহমান প্রধান।
তাই রোগীদের দুঃখ কষ্টও দুর্দশা উপলব্ধি করে এখানে চিকিৎসক পদায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কাজী মো: আতিকুল ইসলাম বলেন ডাক্তার সংকটের কারণে জোড়া তালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে জরুরি বিভাগ সহ হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখানকার সমস্যার কথা সবাই অবগতব থাকলেও সমাধান হচ্ছে না কোনমতেই।