ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা মানুষ। ৫ জুন শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। তবে শেষ মুহূর্তের ভিড় ও ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই আগেভাগে ঢাকায় ফিরছেন।
বরিশাল নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ছুটির মাঝামাঝি সময়ে যাত্রীর চাপ তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও, ১১ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন এই চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, “মঙ্গলবার বরিশাল থেকে চারটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে অতিরিক্ত লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
যাত্রীরা বলছেন, ছুটির শেষ দিকের অতিরিক্ত ভিড় এড়াতেই তারা আগেভাগে ফিরছেন। এমভি পারাবত ১৮ লঞ্চের যাত্রী হেনোয়ারা বেগম জানান, “আরও কয়েকদিন বাড়িতে থাকতে পারতাম। কিন্তু শেষ সময়ে প্রচণ্ড ভিড়ের কথা ভেবে আগেই রওনা হলাম।”
একই অভিমত এমভি সুন্দরবন ১১ লঞ্চের যাত্রী জসিম উদ্দিনের। তিনি বলেন, “আগেই ১০ তারিখের টিকিট কেটে রেখেছিলাম। এখনো ভিড় manageable আছে। স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা করতে পেরে ভালো লাগছে।”
এমভি ফারহান লঞ্চের যাত্রী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “এখনো তেমন চাপ নেই। তবে শুক্রবার ও শনিবার হয়তো কিছুটা ভিড় হতে পারে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর লঞ্চযাত্রায় চাপ অনেকটাই কমেছে।”
লঞ্চ মালিক পক্ষের ভাষ্যমতে, যাত্রী সংকটে পড়েছে এ খাত। সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আকতার হোসেন আকেজ বলেন, “ঈদ ছাড়া সারা বছরই যাত্রী সংকটে ভুগতে হচ্ছে। এখনকার চাপও তুলনামূলক কম।”
নদীপথে যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়ে বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, “নদী বন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে।”
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা রুটে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস ৩ জুন থেকে চালু হয়েছে, যা চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত।