পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কথিত অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচি আয়োজনের পেছনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনারও ভূমিকা রয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট নিয়ে ফেসবুক লাইভে থাকাকালে ঢাকা পোস্ট-এর জেলা প্রতিনিধি মোঃ রায়হানকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ রায়হানকে উদ্ধার করেন এবং ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে এবং অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তারা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে রোগী ও স্বজনদের জিম্মি করে তুলছেন। সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে গন্তব্য অনুযায়ী কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং জনসেবার উপর এই সরাসরি আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সিন্ডিকেট শুধু দুর্নীতিগ্রস্তই নয়, এখন তারা সাংবাদিক নির্যাতনেও জড়িয়ে পড়েছে।”
তাঁরা আরও বলেন, হাসপাতাল একটি জনসেবা কেন্দ্র, এখানে কোনো সিন্ডিকেট বা চাঁদাবাজির জায়গা হতে পারে না। দ্রুত এই চক্রকে ভেঙে জনবান্ধব অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ছুটির পর তিন কার্যদিবসের মধ্যে যদি সিন্ডিকেট ভেঙে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।