১০ লাখ টাকা কাবিনে মুসলিম চীনা যুবক ইরিছা চংয়ের সঙ্গে বিয়ে নাবিয়া আক্তারের, শিগগিরই যাচ্ছেন চীনে
ভোলায় এক ব্যতিক্রমী প্রেম ও বিয়ের গল্প এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বন্ধুত্বের সূত্র ধরে বাংলাদেশের ভোলা জেলায় এসে এক মুসলিম চীনা যুবক বিয়ে করলেন তার বন্ধুর ছোট বোনকে। টিকটক আর ইউচ্যাটের পরিচয় থেকে গড়ে ওঠা সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত পরিণয়ে রূপ নেয়।
চীনের লানজু শহর থেকে আগত যুবকের নাম ইরিছা চং। মুসলিম এই তরুণ জন্মসূত্রে চীনের লানজু শহরের বাসিন্দা। সেখানে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন তিনি। তার বাবার নাম মেছউধা। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ভোলার স্থানীয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিয়া আক্তার হলেন তার জীবনের সঙ্গিনী।
নাবিয়ার ভাই রনি জানান, প্রথমে টিকটক, পরে ইউচ্যাটের মাধ্যমে চীনা যুবকটির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। সেই বন্ধুত্বের টানে গত ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন ইরিছা চং এবং প্রায় একমাস তাদের বাড়িতেই অবস্থান করেন। ধীরে ধীরে তিনি ভালোবেসে ফেলেন রনির বোন নাবিয়াকে এবং জানিয়ে দেন, “নাবিয়াকে বিয়ে না করলে চীনে ফিরবো না।”
প্রথমে পরিবার রাজি না হলেও অবশেষে ভালোবাসার কাছে হার মানে সামাজিক বাধা। গত ৫ মে রাতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয় ইরিছা ও নাবিয়ার।
নাবিয়ার বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, “প্রথমে রাজি ছিলাম না। কিন্তু পরে মেয়ের ভবিষ্যৎ ভেবে রাজি হয়ে যাই। জামাই আমাদের পছন্দ হয়েছে।”
স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, ইরিছা নিয়মিত নামাজ পড়েন ও ইসলাম ধর্ম মেনে চলেন বলে তারা খুব খুশি। এক বিদেশি মুসলিম যুবককে জামাই হিসেবে পেয়ে গর্বিত বলেও জানান তারা।
চীনা জামাই ইরিছা চং বলেন,
“নাবিয়াকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে আমি সৌভাগ্যবান। শিগগিরই স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে চীনে ফিরবো। ইতোমধ্যে পাসপোর্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”
নাবিয়া আক্তার জানান, শুরুতে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও এখন তিনি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। “সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে খুব শিগগিরই চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”