জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খেরকাটি নামাপাড়ার পপি রানী (২৬)দুই ছেলে সন্তানের জননিকে প্রথম পিটিয়ে হত্যা,করেন স্বামী পরিমল (৩০) পিতা বিজয় গ্রাম খেরকাটি নামাপাড়া, জলঢাকা,নীলফামারী ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। সোমবার দিবাগত রাতে খেরকাটি নামাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।কিছু দিন আগে পপি তার দাদির মৃত্যুর কারনে বাবার বাড়ী যান ৫ দিন পর বাসায় গেলে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে পরিমল তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কিন্তু পরিমল নাটক করে মুখে এবং শরীরে বিষ মেখে দেন।বিষ মেখে লাশ নিয়ে প্রথমে ডোমার হাসপাতালে গিয়ে গেলে তারা মৃত্যু বলে জানান এরপরেও পরিমল তার নাটকে খেয়ান্ত হয়নি পরের লাশ নিয়ে রংপুর হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।পথিমধ্যে পপি রানীর ভাইয়েরা বিষয়টি জানতে পারলে তাতক্ষনিক পরিমল পালিয়ে যান।
পপির ভাই বাদল ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পপিকে মৃত্যু জনক অবস্থায় উদ্ধার করে জলঢাকা থানায় নিয়ে যান।
জলঢাকা থানার (ওসি) আরজু মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পপিকে নিহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় । ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।