আজ অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আছে যে শিক্ষকরা নিজ খরচেই তাদের প্রতিষ্ঠানে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে।বিগত সরকারের সময় আন্দোলনে গিয়ে সরকার কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন।শিক্ষকরা তো পারিশ্রমিক এমনি এমনি চাই নাই।পরিশ্রম করেছেন তাই আন্দোলনে গিয়েছিলেন বিনিময়ে সরকার কর্তৃক পেটুয়া বাহিনী দ্বারা শিক্ষকগুলোকে ঢাকার রাজপথে অপমানিত করলেন।এটা সভ্য সমাজে কল্পনা ও করা যায় না কিন্তু ফ্যাসিবাদী হাসিনা তা ও প্রমান করেছেন নিজস্ব বাহিনী দ্বারা।যদি আপনারা বেতন না দিতে পারেন তাহলে কেন স্বীকৃতি প্রদান করলেন।একজনকে পরিবারে নিমন্ত্রণ করলে আগে আপনাকে দেখতে হবে সংসারের কি অবস্থা।নিমন্ত্রণ করার পর যদি খেতে দিতে না পারেন তাহলে নিমন্ত্রণ করার দরকারই ছিল না।
সরকারী বা বে-সরকারী যে প্রতিষ্ঠানেই চাকুরী করেন তাদের যদি একমাস বেতন কোন কারনে বন্ধ থাকে তাহলে তাদের সংসার চালানো কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যায় পক্ষান্তরে একজন নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে চলছেন তাহলে সরকার বাহাদুর একটু উপলব্ধি করলে বুঝতে পারবেন যারা এভাবে বিনা বেতনে চাকুরী করে যাচ্ছেন তাদের সংসার কেমন করে চলে?
কোন মানুষ প্রশ্ন করলে মাথা নিচু হয়ে যায় নিচু হয়ে বলতে হয় এখনও বেতন হয়নি।যেদেশে শিক্ষকদের সম্মান নেয় সেখানে দেশ কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়?যত বড় চাকুরী করেন না কেন আপনি কিন্তু একজন সামান্য স্কুল শিক্ষকের হাতে গড়া।সে ছাত্র আজ শিক্ষককে লাঠি পেটা করছে হাইরে আমাদের সোনার বাংলাদেশ গুরুজনকে পেটাতেও তাদের হাত কাঁপে না।কি এমন অপরাধ করলেন পাবনার শিক্ষককে পেটুয়া বাহিনী দ্বারা শহীদ করলেন তিনি তো শুধু অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে দাড়িয়েছিলেন।কাহকে কিছু না দিতে পারলে অন্তত সান্তনা দেয়া উচিৎ ছিল কিন্তু আপনারা তাকে শহীদ করে পাঠিয়ে দিলেন সেই শিক্ষকের পরিবারবর্গ খুব আশায় ছিল এবার হয়তবা বেতন পেয়ে সংসারের দূর্বসস্থা দূর হবে পক্ষান্তরে সংসার কর্তৃক গ্রহন করতে হলো স্যারের মরদেহ।হাইরে স্বাধীন রাষ্ট্র যেখানে অধিকার আদায় করতে গেলে লাশ হতে হয় এ জন্য কি স্বাধীন করেছিলেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে।
নন এমপিও শিক্ষকবৃন্দ বলেন এখন দ্বিতীয় স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টা ও একজন শিক্ষক ছিলেন শিক্ষকদের সাংসারিক অবস্থা উপলব্ধি করে এবার আমাদের ফিরিয়ে দিবেন না।আমরা আজ জাতির শ্রেষ্ট হয়েও বর্তমানে জাতির কলংক হয়ে দাড়িয়ে আছি।নন এমপিও শিক্ষকদের অন্তরালে কান্নার দিকে বিবেচনা করে স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে একযোগে বেতনের আওতায় এনে শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দের হাসি ফোটাবেন।যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে মিনতি শিক্ষার সর্বোচ্চ মান দিয়ে আমাদের এ সোনার বাংলাদেশ কে সত্যকারের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করবেন।