নীলফামারীর জলঢাকায় স্ত্রী অন্তরাকে কুপিয়ে তপন চন্দ্র রায় (৩২) নামের এক যুবকের গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সেই মৃত্যু ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে জলঢাকা ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ। এবং মৃত ব্যক্তিকে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের হাড়োয়া শিমুলবাড়ি ঘোনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষদর্শী গোলাপী রানী (৩০)জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাসে কাপড় শুকাতে গিয়ে দেখতে পাই পার্সবর্তী বাসিন্দা নির্মল চন্দ্র রায়ের বাঁশ ঝাড়ের ইউ কালেক্টর গাছের সঙ্গে গলায় রশি প্যাচিয়ে আত্মহত্যার একটি ঝুলন্ত লাশ দুলছে।
তৎক্ষনাআমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
এ সময় মৃতের পিতা গোকুল চন্দ্র রায় (৫০) জানান, আমার ছেলে তপন চন্দ্র রায় একজন মানুষিক রোগী। গত তিন মাস পূর্বে তাকে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী সকালে স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তার স্ত্রী রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে আমি সহ পরিবারের লোকজন সেখানে দেখতে যাই। এই ফাঁকে সকলের অজান্তে মানুষিক ভারসাম্য রোগী তপন চন্দ্র রায় গাছে উঠে গলায় রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে।
মৃতের মা স্বপ্না রানী (৪৫) জানান, স্ত্রীকে আহত করে রংপুর হাসপাতালে পাঠার পর তপন চন্দ্র রায় নিজ শয়ন ঘরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সে সময় টের পাওয়ায় প্রাণে বাচঁলেও আমাদের অজান্তেই বাহিরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ যুগের আলোকে জানান, মৃতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা যার নং ০৫ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।