ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বাজেটের প্রতিবন্ধী, অসহায়, হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাটামারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পারফরম্যান্স এডুকেশন ডেভেলপমেন্টে প্রোগ্রাম (PBGSI) স্ক্রীমের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শিক্ষকদের প্রণোদনা, বই-পত্র, শিক্ষা উপকরণ, ছাত্র-ছাত্রীদের বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার তৈরি, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটি উন্নয়ন, জবাবদিহি অনুদান হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান প্রাপ্ত হয়। এর থেকে প্রতিবন্ধী ৫% ও হতদরিদ্রদের জন্য ২০% টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবন্ধী হতদরিদ্রদের তালিকা থাকলেও তাদের স্বাক্ষর জাল করে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিছ। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামেনে ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এ কর্মসূচীতে যোগ দেয় শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরাও। এ বিষয়ে তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা স্কুল থেকে এমন কোন টাকা পাইনি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে। এ ব্যাপারে বাটামারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গোলাম নুর মিলন হাওলাদার জানান, এ বিষয়ে আমি প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, টাকাগুলো আমি প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছি। অথচ পরে জানতে পারলাম এ টাকা গুলো তিনি বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার ফজলে গোফরান জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্য প্রমান হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিসের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।