ভোলার চরফ্যাশনে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠছে
জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোমামুন হোসেন রাজুসহ তার
সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। রাতের আধাঁরে ট্রলারযোগে বিক্রির জন্য মালামাল
নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারের মাঝি মো নুরনবীকে আটক করে পুলিশে সোপন্দ করেছেন
স্থানীয়রা।
আটককৃত ট্রলার মাঝি নুরনবী ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মজিবল গাজীর
ছেলে। আশ্রয়নের ঘর ভেঙ্গে মালামাল চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাহানপুর
ইউনিয়নের তহশিলদার আবুল কাশেম বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৪
জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রাতে শশীভূষণ
থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে এঘটনা ঘটে।
জানাযায়,শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের গৃহহীন
আশ্রিতদের জন্য ২০১৯ সালে ঘর নিমান করে বরাদ্দ দেয়া হয়। মুল ভূখন্ড থেকে
দুরগম তাই নিমানের পর থেকেই এখানে কোন লোক জন আসেনি। ওই ঘর গুলো আশ্রীতরা
বুঝে নেয়ার পরে জরাজীর্ণ হয়ে পরে ছিল র্দীঘ দিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন
খোজ খবর রাখা হয়নি । আরএ সুযোগে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক
সম্পাদক মো:মামুন রাজু ও তার চাচা নাসির মাঝিসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র
রাতের আধাঁরে ওই ঘর গুলো ভেঙে লোহার এ্যাংগেল ও টিন বিক্রির জন্য ট্রলারে
ভর্তি করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্ধারা ছাত্রদল নেতা মো মামুনসহ
অপরাপরদের আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ট্রলার
ভর্তি লোহার মালামালসহ ওই ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আটক করে থানায় খবর দেন।
রাতেই শশীভূষণ থানা পুলিশ চোরাই মালামাল জব্দ করেন। এবং ট্রলার মাঝি
নুরনবীকে আটক করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মামুন জানান, কেবা কাহারা আশ্রয়নের ঘর ভেঙে নিয়ে
যায় এমন খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাল গুলো জব্দ করে পাঁচ কপাট বাজারে
নিয়ে আসি। চুরির সাথে আমি জড়িত নই।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, আশ্রয়নের ঘর ভেঙে মালামাল
চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আটককৃত ট্রলারের মাঝি
নুরনবীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।